২৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম পোর্ট বাংলাদেশের সম্পদ, অপপ্রচার না চালানোর আহ্বান উপদেষ্টার

চট্টগ্রাম পোর্ট বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ, এটি দেশেরই থাকবে—এমন মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বন্দর পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম পোর্ট আমাদের সম্পত্তি। এটা আমাদের কাছেই থাকবে। কেউ যদি প্রোপাগান্ডা করে, আমি আশা করব দেশের স্বার্থে তারা যেন এমন না করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই, নিজেদের মধ্যে গণ্ডি তৈরি করে রাখতে চাই না।”

পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) সম্পর্কেও মত দেন। বলেন, “১৭-১৮ বছর যারা এনসিটিতে দায়িত্বে ছিলেন, তারা খারাপ করেননি। তবে এখন আরও বেশি দক্ষতার প্রয়োজন আছে। এ জন্যই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এই টার্মিনাল থেকে যে কনটেইনার লোড হচ্ছে, তা সিঙ্গাপুরে যাবে। ট্রান্সশিপমেন্ট হবে। সিঙ্গাপুরে অধিকাংশ পোর্টই প্রাইভেটভাবে চলে। আমাদেরও যদি দক্ষতা বাড়াতে হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক টেকনোলজি ও অভিজ্ঞতা আনতেই হবে। পরিচালনা আমাদের হাতেই থাকবে, শুধু দক্ষ অপারেটরকে যুক্ত করা হবে।”

তিনি বলেন, “ইন্টেরিম সময়ের জন্য এনসিটি ড্রাইডককে দেওয়া হয়েছে, যার সঙ্গে নেভিও আছে। এতে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে—এটা বড় অগ্রগতি।”

ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানান, “১৯৮৬ সালের পর বন্দরের ট্যারিফ বাড়েনি। বর্তমানে বিশ্বমানের অন্যান্য প্রধান পোর্টের তুলনায় আমাদের ট্যারিফ এখনো কম, এমনকি মোংলার চেয়েও কম। তাই আলোচনার ভিত্তিতেই সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে।”

বাংলাধারা/এফইএমএফ

আরও পড়ুন