২৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আনা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত

চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আনা স্ক্র্যাপ লোহার একটি কনটেইনারে ‘তেজস্ক্রিয়ার উপস্থিতি’ শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণে স্থাপন করা ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেমে’ এটি শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তেজস্ক্রিয়ার উপস্থিতি পাওয়ায় পর চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই কনটেইনারটির ছাড়পত্র স্থগিত করে আলাদা করে রেখেছে।

গত বুধবার বন্দরের ৪ নম্বর গেট দিয়ে কনটেইনারটি ছাড় করানোর সময় মেগাপোর্টস ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেম তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করে।

কাস্টমস নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড এই চালানটি আমদানি করে। এটি গত ৩ আগস্ট এমভি মাউন্ট ক্যামেরন জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এই চালানে ১৩৫ টন ধাতব স্ক্র্যাপের মোট পাঁচটি কনটেইনার ছিল। এগুলো কোম্পানিটির ডেমরা কারখানার জন্য আমদানি করা হয় বলে নথি থেকে জানা যায়।

প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ে কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ এই তিন ধরনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে কম মাত্রার তেজস্ক্রিয়।

তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কনটেইনারের স্ক্র্যাপ ও দেওয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরও বেশি হতে পারে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান বলেন, ‘কনটেইনারটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে জানানো হয়েছে। তাদের বিশেষজ্ঞরা সাইটে পরিদর্শন করবেন, এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

বাংলাদেশে প্রথম তেজস্ক্রিয় পদার্থ ধরা পড়ে ২০১৪ সালে। তখন ভারতের উদ্দেশ্যে পাঠানো স্টেইনলেস স্টিলের স্ক্র্যাপ কলম্বোতে আটকানো হয়। কনটেইনারটি পরে চট্টগ্রামে ফেরত আনা হয় এবং চার দেশের বিজ্ঞানীরা মিলে এর ভেতর থেকে রেডিয়াম-বেরিলিয়াম উৎস অপসারণ করে।

আরও পড়ুন