বাংলাধারা প্রতিবেদক »
দিন পঞ্জিকায় নতুন বছরের আগমনের সাথে সাথে ফেলে আসা বছরের হিসাব নিকাশও কষা হয়েছে। সেই হিসাবে ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারবাহী পণ্যের তুলনায় সাধারণ পণ্য ওঠানামায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
করোনাকালীন সময়ে বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ছিলো স্বাভাবিক। তবে খালাস প্রক্রিয়া ধীর গতি হওয়ায় ২০২১ সালে কন্টেইনার জটের কারণে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল মহাসড়কে। বিশ্বের সমুদ্র বন্দরগুলোর অবস্থান নির্ণয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং’কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। কন্টেইনার উঠানামার উপর ভিত্তি করে বিশ্বে সেরা বন্দরে তালিকা হয়। তাই সাধারণ পণ্য উঠানামায় ততটা গুরুত্ব পায় না।
২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মোট কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউএস। ২০২০ সালে ছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭টিইইউ। ২০১৯ সালে দেশের প্রধান এ বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং প্রথমবারের মতো ৩০ লাখ টিইইউএস ছাড়িয়েছিল। ওই বছর হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউএস।তবে ২০২১ সেটি ছিলো বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সেখানে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিলো ১৩ শতাংশ।
২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে সাধারন পণ্য উঠানামা হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। ২০২০ সালে উঠানামা হয়েছে ১০ কোটি ৩২ লাখ ৯ হাজার টন। ২০২১ সালে উঠানামা হয়েছে ১১ কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার টন। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ।
দেখা গেছে, কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর চেয়ে সাধারণ পণ্য উঠানামায় প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বেশী অর্জিত হয়েছে।২০২১ সালে সাধারণ পণ্য উঠানামায় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৪ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দরে স্থায়ী পাকা জেটি সংখ্যা ১৫ টি। পনটুন জেটি আছে ২টি, বেসরকারি জেটি ৩টি, লাইটার জেটি ৮ টি, মুরিং বার্থ জেটি ১১টি এবং মাল্টিপারপাস বার্থ বা কন্টেইনার জেটির সংখ্যা ১২ টি। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে সাধারন পণ্য উঠানামার জেটি আছে ৬টি।কন্টেইনার উঠানামার জন্য পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।বন্দরের প্রধান ৬টি জেটির বাইরে স্বাধীনতার পর নতুন কোন সাধারন জেটি নির্মিত হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরে। ফলে সাধারণ বা খোলা পণ্য যারা আমদানি করেন তাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।
তবে সাধারণ পণ্য পরিবহনে প্রবৃদ্ধি বেশি অর্জিত হলেও তেমন একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজগুলো।
এই বিষয়ে চট্টগ্রামের বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর প্রতি বেশি নজরদারি এটা ঠিক। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজের দিকে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, লালদিয়া টার্মিনালকে সাধারণ পণ্য উঠানামার নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে সেটি নির্মাণ করা হচ্ছে না। তবে বে-টার্মিণালে সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজের জন্য সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।













