বাংলাধারা ডেস্ক »
গত ২০ সেপ্টেম্বর মেঘালয়ের ডাউকি থেকে লরিতে করে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে মাসুল পরিশোধ শেষে আট টনের মতো চা-পাতার একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পড়ে কাস্টমসের নিরাপত্তা পাহারায় সড়কপথে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। এরপর গত ১১ দিন ধরে অপেক্ষায় ছিল ‘ট্রান্স সামুদেরা’ নামে জাহাজের। অবশেষে ভারতের মেঘালয় থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ট্রানজিটের চা পাতার চালানটি নিতে আজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে বাংলাদেশি জাহাজ ‘ট্রান্স সামুদেরা’।
এই চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরে পৌছালেই শেষ হবে চারটি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার পরীক্ষামূলক ট্রানজিট পণ্য পরিবহন । আর এই চালানটিই হবে ভারতের মেঘালয় থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলকাতায় যাওয়া এই প্রথম।
জাহাজটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে । আজ (রবিবার) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে । পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগামীকাল (সোমবার) ট্রানজিট পণ্য নিয়ে রওনা দিবে কলকাতার উদ্দেশ্যে। এরমধ্য দিয়েই ট্রানজিট পণ্যের পরীক্ষামূলক আসা-যাওয়ার চালান শেষ হবে।
এখনো পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে কোনো পণ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে (সেভেন সিস্টার) পাঠাতে গেলে সড়কপথে দীর্ঘ এবং জটিল পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে কলকাতা থেকে আসাম বা ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় পণ্য পরিবহন করতে গেলে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছিল।
এই সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দ্রুত-নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতেই বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দুটি ও মোংলা বন্দর দিয়ে দুটি ট্রানজিট চালানের পরীক্ষামূলক চলাচল শেষ হচ্ছে। এখন ট্রানজিটের রুট, ব্যয়, ত্রুটি দূর করে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশ বসে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য পরিবহন শুরুর সিদ্ধান্ত নেবে। জানতে চাইলে ট্রানজিট পণ্য
পরিবহনে যুক্ত বাংলাদেশি শিপিং এজেন্ট ম্যাংগো লাইনের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চা-পাতা বোঝাই কনটেইনারটি নিতে ট্রান্স সামুদেরা জাহাজটি আগামীকাল (আজ রবিবার) চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ার কথা রয়েছে। জাহাজটি নোঙর করলে ট্রানজিটের চালানটি তুলে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাহাজটি সোমবার ছেড়ে গেলে দুই-তিন দিনের মধ্যে কলকাতা পৌঁছাবে বলে আশা করা যায়।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুদেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে একটি চুক্তি হয়। এরপর প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক চলাচল) হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। তখন কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি সেঁজুতি’ চারটি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। এর মধ্যে দুটি কনটেইনারে ছিল টিএমটি স্টিল বার, যা পরে স্থলপথে ভারতের ত্রিপুরায় যায়। বাকি দুই কনটেইনারে ছিল ডাল যা ভারতের আসামে নেওয়া হয়েছিল ।
সূত্রঃ পূর্বকোণ













