বাংলাধারা প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন আয়োজনের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে এই কমিটির আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন— চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমদ, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কোতয়ালী আসনের সাংসদ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের চলমান ইউনিট সম্মেলন নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিকে। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চলমান ইউনিট কমিটি সম্মেলনে স্বজনপ্রীতি, ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন হয়েছেসহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছিল ওই পক্ষটি। এ নিয়ে রাজনীতি পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা সমালোচনা চলছিল।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীকে নিয়ে এই বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বলেন, ইউনিট কমিটির সম্মেলন রিভিউ করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সম্মেলন তদারক করার জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১২৯টি ইউনিটের মধ্যে ইতিমধ্যে ১০৬টি ইউনিটের সম্মেলন শেষ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরোয়া পরিবেশে বাকি থাকা ২৩টি ইউনিট সম্মেলন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় মহানগর আওয়ামী লীগ।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে ইউনিট সম্মেলন শুরু করে মহানগর আওয়ামী লীগ। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে ইউনিট আছে। ইউনিটের পাশাপাশি ২৬ ডিসেম্বর থেকে ওয়ার্ড সম্মেলন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ইউনিট সম্মেলন নিয়ে একপক্ষ অভিযোগ করলে কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড সম্মেলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।













