চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের (এন-১০৬) হাটহাজারী অংশে সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধিগ্রহণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রবিবার (৪ মে) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, পিডিবি এবং কেজিডিসিএল এ অভিযানে সহায়তা করে।
জানা গেছে, মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বছরখানেক আগেই জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের দেওয়া হয়। তবে বেশ কিছু বাণিজ্যিক ভবনের ভাড়াটিয়া ও প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, আগাম কোনো নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়েছে।
উচ্ছেদকালে হাটহাজারী আধুনিক হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেডেও অভিযান পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সিজারিয়ান রোগীসহ পাঁচজন ভর্তি ছিলেন এবং আগাম কোনো নোটিশ না পাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় রোগীদের আশপাশের ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়াও অভিযানের আওতায় একটি মাদ্রাসা গেট, একটি পেট্রোল পাম্প এবং বেশ কয়েকটি মার্কেটও রয়েছে, যার ফলে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী অংশে প্রায় ৪ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও সেনাবাহিনীর যানবাহনসহ বহু যানবাহন আটকা পড়ে।
এদিকে, চলমান অভিযানের কারণে সাময়িক ভোগান্তি তৈরি হলেও সাধারণ মানুষ মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশাসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা যানজট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ জায়গার দখল নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
এআরই/বাংলাধারা













