বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামে নতুন দু’টি জাহাজসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন তিনি।
অবকাঠামো ও জলযানের মধ্যে রয়েছে- বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেজ; বিআইডব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ এবং ‘এমভি আইভি রহমান’, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।

বিআইডাব্লিউটিসির উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ও সি-ট্রাক বহরকে দক্ষ ও যুগোপযোগী করতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ এবং ‘এমভি আইভি রহমান’ নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজ দুটির মাধ্যমে বছরে ৬ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে চলাচল করবে এ দুটি জাহাজ।
নির্মাণশৈলী ও দৃষ্টিনন্দন জাহাজ ‘এমভি আইভি রহমান’ দৈর্ঘ্যে ৫০ মিটার ও প্রস্থে ১০.৫০ মিটার। জাহাজটির হালের গভীরতা ৩ মিটার। যার লোডেড ড্রাফট হবে ১.৮৫ মিটার। মাইল্ড স্টিল দ্বারা নির্মিত এই জাহাজটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৫০০। এছাড়া ৫০ টন মালামাল বহন করার সক্ষমতা রয়েছে জাহাজটির।

‘এমভি আইভি রহমান’ জাহাজটিতে ৩৫০ জনের ইকোনমি ক্লাস (ডেক) স্পেস ও ১৩৮ জনের সাধারণ আসন ব্যবস্থা ছাড়াও ১২ টি ভি আই পি বিজনেস ক্লাস বিলাসবহুল কেবিন রয়েছে। এছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য আছে আলাদা জায়গা বরাদ্দ। উন্নতমান ও আধুনিক নেভিগেশন যন্ত্রপাতি ছাড়াও জাহাজটিতে পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম থাকবে। জাহাজটি ঘন্টায় প্রায় ১০ নটিক্যাল মাইল বেগে ছুটতে পারবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













