দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে সম্প্রতি পরলোকগমন করেছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন। তার মৃত্যুতে নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা এলাকায় সিটি করপোরেশনের আটটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ জুলাই এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে দ্বিতীয় দফায় যিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন, এমপি হিসেবে আড়াই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ মাস সময় পাবেন তিনি। চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক? কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে- এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। সবাই চান প্রার্থী হতে। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন সরগরম।
ইতিমধ্যে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তত ১৪ নেতা। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় আছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, ফরিদ মাহমুদ, প্রয়াত আফছারুল আমীনের ছোট ভাই এরশাদুল আমীন ও ডা. আরিফুল আমীনসহ বেশ কয়েকজন।
ইতোমধ্যে অনেকের নামে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই, পোস্টার বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকে পোস্ট করতেও দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন এগিয়ে আছেন মনোনয়নের দৌড়ে। দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন তারা। পরীক্ষিত নেতা হিসাবে নৌকা প্রতীক তাদেরই প্রাপ্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
দলের মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দেবেন বলে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ ও গণতান্ত্রিক সংগঠন। দলের সাথে সংশ্লিষ্ট যে কেউ দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন। দল যাকে যোগ্য মনে করে তাকেই নৌকা প্রতিক দিবে। প্রধানমন্ত্রী নৌকার জন্য যাকেই মনোনীত করে আমরা অন্য সকলে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে তার পক্ষে মাঠে কাজ করব। চট্টগ্রাম ১০ আসনে উপনির্বাচনের মনোনয়ন চাওয়ার ব্যাপারে আমি এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিইনি। দল যদি আমাকে চায় তবে আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে তো যেতে পারিনা। দলের যে কোন সিদ্ধান্ত আমার জন্য শিরধার্য।
অপরদিকে এই উপ-নির্বাচনে আলোচনায় আছে দানবীর ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন। তাকে মনোনয়ন দিলে নৌকা মার্কার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত মনে করছেন নগরীর রামপুর ওয়ার্ড এলাকাবাসী।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কথা জানান, মহিউদ্দিন বাচ্চু ও ফরিদ মাহমুদসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা।
ভিডিও :












