৫ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৮ আসনে নোমান আল মাহমুদকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রদান করা হয়।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের জন্য ২৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল। ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ মার্চ।

এদিকে নোমান আল মাহমুদ গণমাধ্যমকে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, ‘আমার অর্থবিত্ত নেই, পেশিশক্তি নেই। আমি তৃণমূলের একজন কর্মী। আমার মতো মানুষকে টেনে এনে মনোনয়ন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের কর্মীকে গুরুত্ব দেওয়ার বড় উদাহরণ রাজনীতিতে এর চেয়ে আর হতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার মর্যাদা যেন আমি রক্ষা করতে পারি, চট্টগ্রামের মানুষের সম্মান যেন আমি অক্ষুন্ন রাখতে পারি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনা-আদর্শ, আওয়ামী রাজনীতি ছাড়া, আমার আর কিছুই নেই। আমি কখনো রাজনীতি করে টাকার পেছনে ছুটিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কখনো বিক্রি করিনি। আজকে সেটির মূল্যায়ন হয়েছে। আমি কখনো ভাবিনি এত প্রার্থীর মাঝে, ২৭ জন প্রার্থীর মাঝে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাকে বেছে নেবেন। আমি আজীবন কৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম।’

এর আগে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ (নৌকা) নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তিনি ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট পান। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ৩ বছর ২৩ দিনের মাথায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি। এতে শূন্য হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি।

আগামী ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম–৮ আসনের এই উপনির্বাচনের নৌকার প্রার্থী হওয়া নোমান আল মাহমুদ আ জ ম নাছির উদ্দীন ঘরানার রাজনীতি করেন চট্টগ্রামে। তিনি প্রয়াত দুই এমপি মইনুদ্দিন খান বাদল ও মোছলেম উদ্দিন আহমদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

নোমান আল মাহমুদ সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবনেতা হিসেবেও অন্তত ৫ দশক ধরে আওয়ামী লীগ পরিবারে সম্পৃক্ত। ১৯৭১-৭৩ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ৭৪-৭৭ সালে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হন। ৭৯ সালে যুবলীগে মহানগর কমিটির সদস্য হন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের মোস্তফা মহসিন মন্টু ও ভুলু সরকারের কমিটির সময়কালে, ৮৭ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর যুবলীগ সভাপতি ও পরবর্তীতে ’৯৪ সালে শেখ সেলিম-কাজী ইকবাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ৯৭ সালে জাহাঙ্গীর কবির নানক-মির্জা আজম কমিটির সদস্য হন। বর্তমানে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

নোমান আল মাহমুদের তেমন অর্থবিত্ত নেই। নেই পেশিশক্তি। এসব কিছু বিবেচনা করেও শুধু বঙ্গবন্ধুর একজন নিরাপোষী কর্মী হিসেবে, নিশ্চিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন ২৬ জনকে পেছনে ফেলে।

আরও পড়ুন