চন্দনাইশ প্রতিনিধি »
চন্দনাইশে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শাহাদাৎ বরণকারীদের স্মরণে আলোচনা সভা চলাকালীন সময়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকালে হাসিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শাহাদাৎ বরণকারীদের স্মরণে দক্ষিণ গাছবাড়িয়া একটি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভায় ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, সভার প্রধান অতিথি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান তার বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার পর গোলাগুলি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে কমিউনিটি সেন্টারের কাঁচ ভেঙে পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর লোকমান হাকিম আহত হন। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় গুরুত্বর আহত দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচল এক ঘণ্টাব্যাপী বন্ধ থাকে। পরে ঘটনাস্থলে পলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীদের সভাস্থলে আসার পর ছাত্রলীগের নেতা- কর্মীদের মাঝে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন সুজন বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় নুরুল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সংগঠনের সভাপতি মাহাবুবুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য গিয়াস উদ্দিন সুজন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন শিবলি, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, জাকের হোসেন কমরু, আনোয়ার হোসেন জিকু, মেম্বার গোলাম নবী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিকাশ দে, প্রজন্মলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, লোকমান হাকিম, নুরুল ইসলাম রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মঈনুর রহমান আসিফ, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন আরাফাত শ্রাবণ, মো. আলমগীর, জয়নাল আবেদীন, মো. সোহেল, মো. সাইমুন চৌধুরী, মো. হাসান, মো. মামুন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মফিজুর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একটি আর্দশের নাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে আর্দশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীর হৃদয়ে, কৃষকের লাঙ্গলে, শিল্পীর তুলির আঁচরে, কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে স্মৃতি হয়ে আছে। তিনি অসম্প্রদায়িক, বিশ্বনেতা, রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। ২০০১ সালে কর্নেল অলি চন্দনাইশে কয়েক হাজার মানুষকে আসামী করে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত না করার অপচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। এখন বাংলাদেশ আথলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশি তৎপরতা কোনভাবে কাম্য নয়।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













