চন্দনাইশ প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম ধোপাছড়ি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবদুল আলীম এবং বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের গন্ডামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— আ.লীগের নৌকা প্রার্থী আবদুল আলীমের সমর্থক জমির উদ্দিন (৩০), আনোয়ার হোসেন (২৮), জমির উদ্দিন (৩০), ফখরুল ইসলাম (২২), নজরুল ইসলাম (২৮), নুরুল আবছার (৪৫), মোছলেম উদ্দিন (৫০), মো. ইলিয়াছ কাঞ্চন (২১)। অন্যদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলমের সমর্থক মো. সাজ্জাদ (২০), মো. শাহাদাত (২১), জসিম উদ্দিন (২৩), মো. শাহেদ (২২), মোজাম্মেল হক (২০), জমিরুল ইসলাম (৩১) আহত হয়েছেন।
আহতদের দোহাজারী হাসপাতালসহ স্থানীভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়াও গন্ডামারা এলাকায় নুরুল আমিন (২৫) নামে এক চা দোকানি গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে আবদুল আলীম বলেন, ‘শনিবার বিকেলে তিনি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড গন্ডামারা এলাকায় গণসংযোগকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে অতর্কিতভাবে আমার ওপর ও আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বিদ্রোহী প্রার্থী মোরশেদুল আলমের সমর্থকরা। এসময় আমার ৯ কর্মী গুরুতর আহত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে ৯ ওয়ার্ডে একযোগে নৌকার সমর্থনে গণমিছিল বের করে। মিছিলে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখে বিদ্রোহী প্রার্থী মোরশেদুল আলম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।’
এ বিষয়ে মোরশেদুল আলম বলেন,‘ শনিবার বিকেলে ধোপাছড়ি বাজারে গণসংযোগকালে আ.লীগ প্রার্থী আবদুল আলীমের সমর্থকরা আমাকে জিম্মি করে। এসময় আরিফ নামে এক যুবক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে হামলায় আমার ৫ কর্মী গুরুতর আহত হন।’
ধোপাছড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতাউল চৌধুরী জানান, ‘বিকেলে ধোপাছড়ি বাজারে বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম তার কর্মী-সমর্থক নিয়ে একটি দোকানে গণসংযোগকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাথে তর্কাতর্কি হয়। তাদের মধ্য থেকে কেউ পরবর্তীতে গন্ডামারা এলাকায় প্রচার করে। ওই সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল আলীম কর্মী সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ করছিল।’ তর্কাতর্কির বিষয়টি জানার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানিয়েছেন চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনর্চাজ নাসির উদ্দীন সরকার।













