চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহেরকে ‘দুর্নীতির আখ্যা’ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদ প্রাঙ্গনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রেখে চবি শিক্ষার্থী মনির হোসেন বলেন, আমাদের উপাচার্য মহোদয় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার মধ্যেও অনেক শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে অধ্যাপক আবু তাহেরের মত কিছু দুর্নীতিবাজ শিক্ষক উপাচার্য ম্যামের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী কফিল উদ্দীন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ও পাহাড়ধসের আশঙ্ক থাকায় ভিসি ম্যাম বাংলোতে থাকেন না। ২০০৭ সাল থেকে কোন ভিসি বাংলোতে নিয়মিত থাকেন না। এটি গণপূর্ত বিভাগের মতামত জানার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়টি ইউজিসিতে জানানো হয়েছে বলে আমরা জানি। তারপরও ইউজিসি সদস্য আবু তাহের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ড. শিরিণ আক্তারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন।
এইদিকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র শাহাব উদ্দীন বলেন, লোকমুখে শুনেছি প্রফেসর আবু তাহের প্রতিজ্ঞা করেছে প্রফেসর ড. শিরীণ আক্তারকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করে নিজেই ভিসি হওয়ার জন্য এই সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। আপনারা হয়তো জানেন, প্রফেসর আবু তাহেরের আগের কর্মস্থল বাংলাদেশ উম্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে; যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল ১৪ জুলাই চবির এই অধ্যাপক গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের বাড়ি বাড়া নেওয়াকে অনিয়ম বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ হচ্ছে, উপাচার্যকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে। পাশাপাশি গত জানুয়ারিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বাংলোতে অবস্থান করতে হবে। বাংলো থাকলে বাড়ি ভাড়া ভাতা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাংলো পরিত্যক্ত করতে হলে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর মাধ্যমে করতে হবে।
ইউজিসির পক্ষ থেকে অনিয়মের বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের মতো করে বিষয়টি দেখবে বলে জানান তিনি। আর এসব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শুরু চরম আলোচনা-সমালোচনা।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













