২৪ অক্টোবর ২০২৫

চবিতে বহিষ্কৃত ও বহিরাগতদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ

চবি প্রতিনিধি »

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস, হল ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রত্ববিহীন (প্রাক্তন/বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তিবর্গদের আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে বলা হয় ১৫ তারিখের পর থেকে উক্ত এলাকায় ছাত্রত্ববিহীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাউকে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় চবি বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন-এর এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে সভায় আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) দিবাকর বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সভায় গৃহীত আলোচ্য সূচির আলোকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। অতঃপর বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ এন্ড ডিসিপ্লিন সভার সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারিতে প্রদত্ত সুপারিশ-১ ও সুপারিশ-২ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সুপারিশের আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গোপন ও সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী যেকোন মাদকাসক্ত ব্যক্তি, ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন সম্ভাব্য মাদক বিক্রির স্থান ও মাদক সেবনের স্থানসমূহে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হল ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রত্ববিহীন (প্রাক্তন/বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এরূপ ব্যক্তিবর্গদের আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। ১৫ মার্চের পর থেকে উক্ত এলাকায় ছাত্রত্ববিহীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাউকে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যেন শুধু কাগজে কলমে না হয়ে বাস্তবায়িত হয় সে কথা ও জানান তারা।বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর আগেও অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু তার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। প্রশাসন আজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা সাধুবাদ জানাই।তবে সিদ্ধান্ত কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে সেটি দেখার বিষয়!’

আরও পড়ুন