৩ নভেম্বর ২০২৫

চবির ঐতিহ্য শাটল ট্রেনে সীমাহীন দূর্ভোগ

ইয়াছিন আরাফাত,  চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আটাশ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের কাছে এই শাটল ট্রেন তাদের গর্বের আবার ভোগান্তির বস্তু। বগি সংকট, অপর্যাপ্ত শিডিউল ও সংস্কারের অভাবে ভোগান্তির বস্তুতে পরিণত হয়েছে শাটল ট্রেন, বেড়েছে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ।

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিমি দূরে পাহাড় ও সবুজে ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে আসা সর্বশেষ শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম শহরের বটতলী স্টেশন থেকে রাত সাড়ে আট টায় ছেড়ে আসে। এই সময়ের ট্রেনে ভীড় হয় অতিরিক্ত সীট না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী, অনেক সময় আবার দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও মেলা ভার।অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন শাটলের ছাদে চড়ে।

বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন ষোলশহর স্টেশনে পৌছালে সেখানে আগে থেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয় সীট ধরার। চলন্ত ট্রেনে তাই অনেকেই দৌড়ে উঠতে চেষ্টা করেন। অসতর্কতা ও তীব্র ভীড়ের মধ্যে অনেক সময় দূর্ঘটনার শিকার হন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শাটলের দূর্ভোগ নিয়ে অসচেতন প্রশাসন। এই তীব্র তাপদাহের মধ্যেও চলে না ফ্যান। জ্বলে না আলো। তীব্র গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যান।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, একে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই জায়গা হয় না, তার মধ্যে বহিরাগতরাও উঠে পড়েন শাটলে। আবার আলো সল্পতার কারণে বহিরাগত বখাটের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন নারী শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া মাঝেমধ্যেই শাটলে পকেটমার ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

গর্বের শাটলের কলঙ্ক মুছতে তাই দ্রুত শাটল সংস্কার ও শিডিউল বাড়ানোর দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন