চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অন্যতম দর্শনীয় স্থান টেলিটক পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুই শিক্ষার্থী। এ সময় ছিনতাইকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আঘাত করে ও তাদের মোবাইল মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
জানা যায়, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) টেলিটক পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইকারীর হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এ সময় তাদেরকে দায়ের কোপে আহত করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোরসালিন সরকার ও একই বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের সাকিল হোসেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা সমমূল্যের দুটি স্মার্টফোন ও দুটি মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় আহত মোরসালিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন। অপরজন খুব বেশি আঘাত প্রাপ্ত না হওয়ায় তার চিকিৎসার প্রয়োজন পড়েনি।
ভুক্তভোগী মোরসালিন সরকার বলেন, আমি এবং আমার বন্ধু টেলিটক পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এ সময় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ৩ জন লোক আমাদের ঘিরে ধরে। এক পর্যায়ে আমাকে দা দিয়ে কোপ দেয়। এরপর আমাদের নিকট থেকে মোবাইল মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি তাদের মুখ দেখতে পাইনি, ওদের মধ্যে দুজন গায়ের টিশার্ট খুলে মুখ বেঁধে রেখেছিল, আর একজন একটা কাপড়ে মুখ বেঁধে রাখে। ওদের তিনজনের হাতের দেশীয় অস্ত্র ছিল।
এ বিষয়ে মোরসালিনের সহপাঠী সাকিল হোসেন বলেন, মোরসালিন ছাত্রলীগের একজন একটিভ কর্মী। ঘটনা ঘটার পর পরই আমাকে বিষয়টা জানায়। আমি ও আমার বন্ধুরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রক্টরিয়াল বডি ও হাটহাজারী থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। ছিনতাইকারীদেরকে শনাক্ত করতে তারা কাজ শুরু করেছেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দফতরের প্রধান শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়াতে ওখানে না যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড দেয়া আছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দফতরে লোকবলের সংকট রয়েছে। যার কারণে আমরা এতবড় ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় নিরাপত্তা দিতে পারি না, যদিও এটা আমার কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। আমি সামনে লোকবল পেলে পাহাড়ের উপরে দুইজন নিরাপত্তাকর্মী দেয়ার চেষ্টা করব।