চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলন্ত শাটল ট্রেনের উপর ঝুঁকে পড়া একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অনেকেই ছিটকে পড়েছেন শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতেয়াবাদ স্টেশনে ক্যাম্পাসগামী ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায়শই শাটলে জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ছাদে যাতায়াত করেন। সম্প্রতি চৌধুরী হাঁট রোডের একটি গাছের ডাল ট্রেন লাইনের উপর ঝুঁকে পড়লে তাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আজ বিকেলে একজন শিক্ষার্থী ও রাতের অন্ধকরে ডালটি দেখা না যাওয়ায় আরও অন্তত ২০ ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধে কয়েকজনকে ফতেয়াবাদ মেডিকেল ক্লিনিকে ও কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানা গেছে।
জুনায়েদ খান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ছাদ থেকে ৩ জনকে আহত অবস্থায় নামিয়েছি। এরমধ্যে দুজনের মাথা রক্তাক্ত ছিলো। আরেকজন পায়ে প্রচণ্ড আঘাত পায়। পা নাড়াতে পারছিলো না। ট্রেনের অন্য পাশ দিয়ে আরও ৩ জনকে নামানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হলে মধ্যরাতে উত্তাল হয়েছে চবি ক্যাম্পাস। রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষার্থী বলেন, তপ্ত গরমে শাটলের ছাদে কেউ আনন্দে যায়না। বাধ্য হয়েই যেতে হয়। গাড়িভাড়া বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন রোদের তপ্ত গরমে শাটলের ছাদে যাতায়াত করছে শতশত শিক্ষার্থী। শাটলের ভেতরে পা রাখার মতো জায়গা নেই।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষকদের জন্য ব্যবস্থা করেছে এসি বাসের। আমরা শিক্ষার্থীরা এসি বাস চাইনা শুধু চাই শাটলের ভিতর দাঁড়ানোর খানিকটা জায়গা।













