বাংলাধারা প্রতিবেদন »
বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের ভিতরে মৌলবাদ যতটা না অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে তার চেয়ে অধিক বেশি অনুপ্রবেশ আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের মধ্যে হয়েছে বলে দাবি করছেন চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসব বলেন টিপু। এতে তিনি চবি আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানেরও দাবি প্রকাশ করেন।
চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যে সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে সময় থেকে এখনকার সময়কাল পর্যন্ত যদি ধরি তাহলে হিসেব করলে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ জামাত বিএনপির আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত। আর ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখনকার দিনে চবির অবস্থা খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। ২০০৮ এর পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে চবি মৌলবাদ মুক্ত ক্যাম্পাস হওয়ার সূচনা লাভ করে।’
‘তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে বর্তমান সময়ে চবিতে ছাত্রলীগের ভিতরে যতোটা না অনুপ্রবেশের আশংঙ্কা করা হচ্ছে তার চেয়ে অধিক বেশি অনুপ্রবেশ আওয়ামী পন্থী সম্মানিত শিক্ষকদের মধ্যে হয়েছে। আমরা তো নিয়মিত যাচাই বাছাই করছি আমাদের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। কিন্তু আপনাদের ভিতর এতো এতো অযাচিত লোকের বসবাস দেখে খুবই অবাক লাগে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আদর্শিক জায়গায় আমাদের ঘাটতি নেই। কিন্তু সম্মানিত শিক্ষকদের এই রকম গড়পড়তা হারে সাপের খোলস পাল্টানো নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সামগ্রিকভাবে কপটতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আদর্শিক মানুষেরা আজ যেন বিলুপ্তপ্রায়। নকলের ভীড়ে আসলেরা তলিয়ে গেছে।’
ইকবাল হোসেন টিপু লিখেছেন, ‘চবির মাটিতে জয় বাংলা’র চাষ করতে গিয়ে প্রচুর রক্ত ঝরেছে। আজ সেই রক্তবিধৌত চবির মাটিতে মৌলবাদী বিষবৃক্ষের নগ্ন আস্ফালনের মানে হলো ঐ পবিত্র রক্তের উপর থুথু নিক্ষেপ করা। শুদ্ধি অভিযান সব জায়গাতেই প্রয়োজন।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু মুঠোফোনে বলেন, ‘শুদ্ধি অভিযানের দাবি জানাচ্ছি এটা ঠিক, তবে চবি শিক্ষকদের মধ্যে যারা আওয়ামী পন্থী শিক্ষক শুধু তাদের মধ্যে এই অভিযানের দাবি জানাচ্ছি।’
সাধারণ সম্পাদকের সাথে একাত্বতা পোষণ করেন কি-না জানতে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের মোবাইলে কল দিলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অবস্থান জানতে চবি উপাচার্য শিরীণ আখতারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার কিছু বলার নেই। এসব ব্যাপারে আমার কাছে জানতে চাওয়ার মানে আমাকে বিব্রত অবস্থার মধ্যে ফেলা।’
বাংলাধারা/এফএস/এআর













