২৩ অক্টোবর ২০২৫

চমেকে দালাল চক্রে র‌্যাবের অভিযান, আটক ২১

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সক্রিয় একটি বিশাল দালাল চক্রকে ধরতে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব-৭। বুধবার দুপুরে পরিচালিত এ বিশেষ অভিযানে চক্রের ২১ সদস্যকে আটক করা হয়।

র‍্যাবের দাবি, এসব দালাল দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে রোগীদের ঠকিয়ে আসছিল। প্রতারিত হচ্ছিল হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।

দালাল চক্রের সদস্যরা বিশেষ করে টার্গেট করতো দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের। কখনো হাসপাতালে সিট দেওয়ার কথা বলে, কখনো টেস্ট করিয়ে দেওয়ার কথা বলে কিংবা সরকারি সেবা থেকে রোগীকে সরিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা।

অনেক সময় রোগী ও তার স্বজনদের ভুল তথ্য দিয়ে ভয় দেখিয়ে চক্রটি বেসরকারি ক্লিনিকে স্থানান্তর করত। পরবর্তীতে সেই ক্লিনিকেই চিকিৎসা খরচের নামে নেয়া হতো দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের দোকান থেকে উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হতো রোগীকে। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এমনকি কিছু নার্সও জড়িত।

এসব অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, করিডোর ও বাইরে অভিযান চালায় র‍্যাব-৭ এর একটি টিম। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে আটক করা হয় ২১ জনকে।

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্রের আধিপত্য নিয়ে সাধারণ রোগী ও স্বজনরা হতাশা প্রকাশ করে আসছিলেন। র‍্যাবের এ অভিযানকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তারা চান, এটি যেন এককালীন না হয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়।

হাসপাতালে মা কে নিয়ে আসা এক রুগীর স্বজন বাংলাধারাকে বলেন –

“সরকারি হাসপাতালে এসে যদি রোগী নিরাপদ না থাকে, তবে সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা কোথায়?” এদের কারণে আমরা বিভ্রান্তিতে পরি, খরচ হয় অতিরিক্ত টাকা। এরা হাসপাতালের কর্মীদের সাথে জড়িত। এমন অভিযান প্রতিনিয়ত হাওয়া উচিৎ”

অভিযান শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন – এখন পর্যন্ত আমাদের অভিযানে ২১ জনকে অভিযোগের ভিত্তিতে শনাক্ত করে আটক করা হয়েছে। দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য দুর করতে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন আমাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য রয়েছে, একটি হলো ল্যাব চক্র আরেকটি হলো ফার্মেসি, যারা রোগীদের কাছ থেকে ওষুধের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। এছাড়াও আরো একদল দালাল রয়েছে যারা হাসপাতাল থেকে রুগীদের কে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। র‍্যাব- ৭ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় এই দালালদের কে চিহ্নিত করে আটক করা হয়।

 

বাংলাধারা/এফইএমএফ

আরও পড়ুন