বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিসিআর মেশিন ধার করে গত ৯ মে করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক)। কিন্তু হঠাৎ করেই হাসপাতালটিতে মিলছে না করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
সোমবার (২২ জুন) সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় একটি নোটিশ। সেখানে লিখা আছে, ‘এখানে রিপোর্ট দেওয়া হয় না’।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সকাল থেকে এসে করোনার নমুনার ফল পেতে অপেক্ষা করে আছি। এমনিতেই চিন্তায় আছি নমুনার ফল নিয়ে। তার উপর কর্তৃপক্ষ বলছে এখানে রিপোর্ট পাওয়া যাবে না। কোথায় রিপোর্ট পাওয়া যাবে তারা সেটাও স্পষ্ট করে বলছেন না।
মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের কোভিড-১৯ ল্যাবের ইন-চার্জ ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নোটিশের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ চমেকের পূর্ব গেটে তাদের ডিপার্টমেন্টের সামনে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে দেখা যায় গেট বন্ধ, রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, চমেকে দুটি পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন ৩৫০ জনের পরীক্ষার সক্ষমতা থাকলেও মাত্র ১০০ থেকে ১২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এর আগে চমেকের পিসিআর মেশিনে ক্রটি ধরা পড়লে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে করোনা পরীক্ষা। পরে রোববার (৩ মে) সকালে মেশিনটি খুলে নিয়ে যায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওভারসিস ম্যানেজম্যান্ট করপোরেশন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিসিআর মেশিন ধার করে গত ৯ মে করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক)।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













