মোহাম্মদ সৈকত »
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্যানেল মেয়র নির্বাচন নিয়ে এখন পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে তুমুল আলোচনা। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকল আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
তিন সদস্য বিশিষ্ট এই প্যানেলে থাকবেন দুই জন সাধারন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং একজন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
প্যানেল মেয়র নির্বাচন নিয়ে অতীতে এত মাতামাতি না থাকলেও এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। রেকর্ড সংখ্যক সাধারন কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র হওয়ার দৌঁড়ে নিজেদের শামিল করেছেন। তবে তিনজন কাউন্সিলরের পাল্লা ভারী। এরা হলেন— ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন, ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুন উর রশীদ এবং ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
অন্যদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে ২২, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নীলু নাগের কথা শোনা যাচ্ছে।
রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এবার দায়িত্ব নেয়ার সাথে সাথে নিজস্ব অর্থায়নে মশক নিধন কর্মসূচির মাধ্যমে রামপুর এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে নালা-নর্দমা থেকে আবর্জনা ও বালু অপসারণ কার্যক্রম। করোনা মহামারীর সময়ে অসংখ্য মানুষকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৫০ এর অধিক মানুষকে নিয়মিত বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, সহায়ক ভাতা কার্যক্রম শুরু করেছেন যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, চসিকের বর্তমান পর্ষদের প্রথম সভা হয়েছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ এর ২০ ধারা অনুযায়ী, সিটি কর্পোরেশন গঠন হওয়ার পর প্রথম সভার এক মাসের মধ্যে কাউন্সিলরগণ অগ্রাধিকারক্রমে নিজেদের মধ্য থেকে তিন সদস্যের মেয়রের প্যানেল নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে একজন অবশ্যই সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হতে হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













