১২ নভেম্বর ২০২৫

চসিক কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্র নওশাদ গ্রেফতার, স্ত্রী পলি বেগম পলাতক

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

স্ত্রী রেহনুমা ফেরদৌসের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্র নওশাদ আমিন। অন্যদিকে একই মামলার আসামি কাউন্সিলরের স্ত্রী পলি বেগম পলাতক থাকায় এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

রোববার (৩ জুলাই) সকালে নওশাদকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলরে নুরুল আমিনের ছেলে নওশাদ আমিনের বাসা থেকে তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কাউন্সিলরের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন রেহনুমা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন নওশাদুলের পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত শেষে বাবার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে জানাজায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন রেহনুমার স্বজনরা।

তিনি বলেন, শনিবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে রেহনুমা ফেরদৌসের বাবা তারেক ইমতিয়াজ বাদি হয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্র নওশাদ আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া রেহনুমার শাশুড়ি বর্তমানে পলাতক আছেন। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে রেহনুমার সঙ্গে নওশাদ আমিনের বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করতো। দেড় মাস আগেও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাসায় দুই দফা সালিশ বৈঠক হয়েছিল। এরপরও তারা থামেনি। তাদের নির্মম নির্যাতনে রেহনুমা মারা গেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে বলে অভিযোগ করছে রেহনুমার পরিবার।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১০টায় শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে রেহনুমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে রেহনুমার স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : কাউন্সিলর আমিনের পুত্রবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ