তারেক মাহমুদ »
আসছে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান কার্যক্রম। এরপর মনোনয়ন বাছাই, আপিল, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশন। অতিসম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন এবং চট্টগ্রামের একটি উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার কম দেখা যায়। তাই আসন্ন চসিক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার বাড়ানোই হবে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অনেকেই।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ১৯ লাখ ২ হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬০ জন এবং নারী ৯ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন। ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন এবং নারী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন।
২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুসারে, নগরীতে নতুন ভোটার হয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৪ জন। আগামী ২ মার্চই চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন তারা। নতুন ভোটাররা ভোটদানে উৎসাহিত থাকেন বিধায় আসন্ন নির্বাচনে তাদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছেন নগর রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বাংলাধারাকে জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ১৯ লাখ ২ হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে নতুন ভোটার হন ৮৫ হাজার ৮৪ জন।
তিনি আরো বলেন, হালনাগাদ তালিকা যাচাই শেষে চূড়ান্ত করে আমরা ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি। আগের তালিকা বা নতুন ভোটারসহ তালিকা যেটাতেই নির্বাচন হোক আমাদের সব রকম প্রস্তুতি আছে। ইসি সিদ্ধান্ত জানালে সেই অনুসারেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ইসি রফিকুল ইসলাম বাংলাধারাকে জানান, কেউ ভোট কেন্দ্রে গেলেই ভোট দিতে পারবেন। আমরা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কোন ঝামেলা হবে না, এইটুকু আশ্বস্ত আমরা করতে পারি। ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সেনাবাহিনী দেখবে বলে জানান এই কমিশনার।
তিনি আরো জানান, সিটি কর্পোরেশন কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কখনও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। এবারও হবে না। তবে কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকবে এবং সেটা পোশাকে। তবে তাদের অস্ত্র থাকবে না। তারা ইভিএমের বিষয়গুলো দেখবেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন এবং নারী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ভবনে চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন সচিব আলমগীর। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ মার্চ, আপিল ২ থেকে ৪ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৮ মার্চ, প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মার্চ। আর ভোট হবে ২৯ মার্চ।
উল্লেখ্য, চসিকের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী। তিনি ১৯৯৪ সালের ১১ মার্চ থেকে ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি টানা ১৭ বছর মেয়র পদে ছিলেন। ২০১০ সালের নির্বাচনে এক সময়ের শিষ্য মনজুর আলমের কাছে পরাজিত হন। ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছিরের কাছে পরাজিত হন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













