বাংলাধারা প্রতিবেদন »
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঁদাবাজির মামলা করায় বাদীর বাড়ি ঘেরাও করে এক নারীর হাত বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পেকুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী টইটং পাহাড়ি ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নারীর নাম খতিজা বেগম (২৮)। তিনি একই এলাকার জয়নালের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির নাম মিন্টু মিয়া (৪০)। বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব পুইছড়ি এলাকার আহমদ মিয়ার ছেলে। তিনি বালু ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা যায়, বালি উত্তোলন নিয়ে মিন্টু ও স্থানীয় জয়নালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এরপরে জয়নাল মিন্টুর বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে মিন্টু ৭ থেকে ৮ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়নালের বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালায়।
হামলায় জয়নালের স্ত্রী খতিজা বেগমের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মিন্টুর দায়ের কোপে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জয়নাল ও তার ভাই হাবিব উল্লাহ (২৫)।
এ খবর এলাকার জানাজানি হলে লোকজন ধাওয়া দিয়ে মিন্টুকে ধরে গণপিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আহত খতিজা ও তার দেবর হাবিব উল্লাহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
টইটং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাসেম বলেন, আমি শুনেছি বটতলী জুমপাড়ার লোকজনের সঙ্গে মিন্টুর মধ্যে টইটং ছড়া থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধ চলছিল।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় জয়নালের বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জয়নালের স্ত্রীর হাত কেটে নিলে এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে হামলাকারী মিন্টুকে গণপিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলে মিন্টু মিয়া মারা যান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুনের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চলছে।
বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ













