২৯ অক্টোবর ২০২৫

চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী দেয়ায় ব্যবসায়ীকে দল বেঁধে মারধোর

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি  »

রাঙ্গুনিয়ায় আবদুল খালেক (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে দল বেঁধে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। লাঠিসোটা ও রড দিয়ে অমানবিক ভাবে পেঠানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গুরুতর আহত ব্যবসায়ীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে সাক্ষি দেয়ার অপরাধে সালাম সিকদার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে এই হামলা চালান বলে অভিযোগ করেছেন আহতের স্বজনরা।

সোমবার (৯ আগষ্ট) সকালে উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের রাজারহাট এলাকায় দুপুর একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত আবদুল খালেকের হাত পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছে। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড রাজাভুবন এলাকায়।

আবদুল খালেককে বেধড়ক মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখার পর স্বজনরা এসে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করবেন জানিয়েছেন আহত আবদুল খালেকের চাচাত ভাই ও রাজাভুবন ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি মুসলিম সিকদার।

মুসলিম সিকদার বলেন, আবদুল খালেক যুবলীগের কর্মী। সে দুপুর ১ টার দিকে রাজার হাট যুবলীগ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাজারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুস সালাম সিকদার, ফারুক, জাহাঙ্গীর, হারুন, ফোরকান, হাবীবসহ ১২ থেকে ১৩ জন লোক দেশীয় ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। গত বছর চাঁদাবাজির কারনে ইউপি সদস্য সালাম সিকদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আমি একটা মামলা করি। সেই মামলার সাক্ষী ছিল আবদুল খালেক। এর জের ধরে সালাম সিকদার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে আজ খালেককে মারধর করে। অভিযুক্ত দক্ষিণ রাজানগর ইউপি সদস্য আবদুস সালাম সিকদারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে এবিষয়ে জানতে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিলকী বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি. সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আহত যুবকের চিকিৎসা চলছে। পরিবার থেকে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে ব্যবসায়ী আবদুল খালেককে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেন দিনদুপুরে ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনা কাম্য নয়।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন