৩০ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজার-১ আসন

চাকুরীবিধি লঙ্ঘন করে স্বামীর হয়ে স্কুল শিক্ষিকার প্রচারণার অভিযোগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বামী জাফর আলমের পক্ষে চাকুরিবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণায় নেমেছেন স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী শাহেদা বেগম। তিনি চকরিয়ার পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এমনকান্ডে বিব্রত অন্য শিক্ষকরাও। তবে এমপি পত্নী হওয়ায় সহজে কেউ প্রতিবাদও করছেন না।

আর চাকুরিবিধি লঙ্ঘন করলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহল। তবে, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।

তথ্য মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১( চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। স্বামীর বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন চকরিয়ার পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাফর পত্নী শাহেদা আক্তার। প্রতিদিন স্বামীর পক্ষে বিভিন্ন উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার বক্তব্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি চাকুরিজীবী হয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সবাই।

জানতে চাইলে পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুরে জান্নাত মিলি বলেন, নির্বাচনে তিনি (শাহেদা আকতার) কি করবেন, না করবেন এটা তার একান্ত নিজস্ব বিষয়।

সরকারি চাকুরিবিধি মতে তিনি এটা পারেন কি না? এমন প্রশ্নের পর- ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। আমার কাছে এ সংক্রান্ত তেমন কোন তথ্যও নেই। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল আজম বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারি কর্মজীবীদের আচরণ দেখভালের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের হাতে। কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, স্বামী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর স্কুলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েন শাহেদা আক্তার। পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে অঢেল। তার অস্বাভাবিক সম্পদ বাড়ার বিষয়টি তদন্ত নেমেছে দুদক।

আরও পড়ুন