বাংলাধারা ডেস্ক »
প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পেল কিউবা। শনিবার দেশটির পর্যটনমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো ক্রুজকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানায় সংবাদ সংস্থা আনালুদু এজেন্সি।
১৯৭৬ সালে বৈপ্লবিক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাতিল করে দেন। এরপর থেকে দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কেউ নিয়োগ পাননি।
চলতি বছরের শুরুর নির্বাচনের দিকে পার হওয়া কমিউনিস্ট-পরিচালিত দ্বীপের জন্য নতুন সংবিধানের বিধি-বিধানে ৪৩ বছরে দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি পথ প্রশস্ত হয়েছে।
ফলে এ সংবিধান অনুসারে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বেশ কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে দেশটির প্রেসিডেন্টকে।
প্রেসিডেন্ট কিউবা মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল কর্তৃক এই পদে মনোনীত ম্যানুয়েল মারেরো পাঁচ বছরের মেয়াদে এপ্রিল মাসে অনুমোদিত নতুন সাংবিধানিক সংশোধনী অনুসারে দায়িত্ব পালন করবেন।
রাষ্ট্র পরিচালিত অনলাইন নিউজলেটে চুবাডেবাট বলেছেন, সরকারপ্রধান হবেন প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক ডান হাত।
তবে সমালোচকরা বলছেন এটা একটি মেকি ঘটনা। কারণ কিউবার কমিউনিস্ট পার্টি এবং দেশটির সেনাবাহিনীই সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আসলেই তেমন কোনো ক্ষমতা নেই কারণ দ্বীপে কিউবান কমিউনিস্ট পার্টি এবং মিলিটারি কেবল দুটি বাস্তব সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান এখনো রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, বিদেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতেই ম্যানুয়েল ক্রুজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিউবার পর্যটন খাতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ। আর ২০০০ সাল থেকে গ্যাভিওটা টুরিজম গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে ক্রুজ দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও পরে ট্রাম্প প্রশাসন ওই টুরিজম গ্রুপের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
২০০৪ সালে ফিদেল ক্যাস্ট্রো ম্যানুয়েল ক্রুজকে পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ওই পদেই কর্মরত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরও তিনি ওই পদে থাকবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













