৭ নভেম্বর ২০২৫

চার দিনের মধ্যে শাস্তি, অন্যথায় পদত্যাগের ঘোষণা চবি রেজিস্ট্রারের

চবি প্রতিনিধি »

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা এবং রাত দশটার মধ্যে মেয়েদের হলে প্রবেশের নির্দেশনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের চার দফা দাবি মেনে নিলে রাত ১টায় আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা।

বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশ পথ আটকে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। এসময় তারা রাত ১০টায় হলে প্রবেশের সিদ্ধান্ত বাতিল ও ক্যাম্পাসে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা বিধানের দাবিতে বিভিন্ন প্রকার স্লোগান দিতে থাকে।

চার কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান। এটা করতে না পারলে প্রক্টর ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল সংলগ্ন এলাকায় ৫ জন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সাথে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়৷ ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরইমাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়।

রোববার রাতের যৌন হয়রানির ঘটনার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা এর আগেও বিক্ষোভ করেন। পরে হলে প্রবেশের সময়সীমা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা বুধবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তারা চারদফা দাবির কথা জানান।

ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগতমী বড়ুয়া বলেন, ‘হলের পাশেই আমরা নিরাপদ নই। তাহলে নিরাপদ কোথায়? বারবার হেনস্তা থেকে শুরু করে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এসব ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

লিখিত আকারে পেশকৃত এসব দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান স্বাক্ষর করলে ছাত্রীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আন্দোলনরত ছাত্রীরা আমাদের কাছে লিখিত আকারে ৪ দফা দাবি জানিয়েছে। আমরা দাবিগুলো মেনে নিয়েছি। ছাত্রীরা এখন হলে ফিরে গিয়েছে।

বাংলাধারা/ এসএস

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ