৫ নভেম্বর ২০২৫

চার দিনে ভয়াবহ ৩ বিস্ফোরণ দেখল দেশের মানুষ

মুহাম্মদ আব্দুল আলী »

দেশে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ৪ মার্চ থেকে ৭ মার্চ এই চার দিনে ভয়াবহ তিনটি দুর্ঘটনা দেখেছে দেশের মানুষ। এরমধ্যে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি এবং রাজধানীতে দুটি।

সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ
গত ৪ মার্চ (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৭ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে ২০ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহতরা হলেন- প্রবেশ লাল শর্মা, মো. সালাউদ্দিন, শামছুল আলম, ফরিদ, রতন লখরেট, মো. শহীদ ও মো. কাদের।

বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরেও লোহার টুকরার আঘাতে মারা যান শামছুল আলম নামে একজন। এ ঘটনায় ৬ মার্চ কারখানাটির তিনজন মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফারণ
সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ ঘটনার পরদিন ৫ মার্চ (রোববার) বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার শিরিন ভবনের তৃতীয় তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন ১৫ জন।

এ বিস্ফোরণের ঘটনায় কারও অবহেলা পায়নি পুলিশ। এ কারণে পুলিশ বাদী হয়ে ৬ মার্চ (সোমবার) গভীর রাতে নিউমার্কেট থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছে।

গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণ
সর্বশেষ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত মোট ৬৫ জনকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ