বাংলাধারা প্রতিবেদন »
কথায় আছে, ‘বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট’। প্রবাদ বাক্যটির সাথে একই সুতোয় গেঁথে গেল নগরীর আগ্রাবাদের চার তারকা হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন। প্রতিদিন নয় ঘন্টা কাজ করে হোটেলটিতে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না কর্মচারিরা। একদিকে করোনার প্রভাব, অন্যদিকে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মাস শেষে বেতন না মেলায় অবশেষে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে নেমেছেন তারা। লাগিয়ে দিয়েছেন হোটেলের মূল ফটকে তালা।
হোটেলের কর্মচারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চার মাসেরও বেশি সময় ধরে কাজ চালিয়ে গেছেন তারা। কিন্তু মাস শেষে বেতন দেয়ার সময় হলেই করোনাকে পুঁজি করে মালিকপক্ষ শুরু করে নানা টালবাহানা। আজ দিব, কাল দিব করে দিচ্ছেন মিথ্যা আশ্বাস। গত ঈদেও এক পয়সা পান নি বলে অভিযোগ করেন কর্মচারিরা।
জানা গেছে, চার তারকা মানের হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন এর চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মামুন উর রহমান। শাহ আলম লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্টিক্ট ৩১৫-বি৪ এর সাবেক গভর্নর। অন্যদিকে এমডি মামুন আগ্রাবাদের অ্যামব্রোশিয়া নামের আরেকটি রেস্টুরেন্ট ও ওআর নিজাম রোডের অ্যামবেসেডর হোটেলেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই প্রতিষ্ঠান দুটিতেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে।
আগ্রাবাদের বেস্ট ওয়েস্টার্ন অ্যালায়েন্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উর রহমান বলেন, করোনার কারণে আমাদের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। কাস্টমার খুব একটা নেই বললেই চলে। আয় থাকলে ব্যয় করার সুযোগ থাকে। অর্থ সংকটে তাদের বেতন দেয়া হয় নি। আমরা আগামীকাল বেতন পরিশোধ করে দেবো।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সেনাকল্যাণ সংস্থার ২০তলা ভবনে গত ৩ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করেছে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হোটেল ‘বেস্ট ওয়েস্টার্ন’।
৮৮ কক্ষবিশিষ্ট চার তারকা মানের এ হোটেল তৈরিতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। এতে অর্থায়নকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফিন্যান্স।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













