সৈকত জোহা »
অবশেষে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী ২২ দিন পর আজ থেকে চালু হলো গণপরিবহন। করোনা মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধি রোধে সরকারি বিধি-নিষেধ অনুযায়ী গত ১৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত রিকশা, মোটরসাইকেল আর ব্যক্তিগত বাহন ছাড়া সব যানবাহন বন্ধ ছিল।
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন রুটে বাস, টেম্পু, সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে। গণপরিবহন চললেও ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। বেশিরভাগ চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে ।
নগরীর একেখান মোড় থেকে জিইসি পর্যন্ত চলাচলকারী টেম্পুগুলোতে দেখা যায় চালকের পাশে দুইজন করে বসছেন। চালকের মুখে মাস্ক থাকলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। ১০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা ।
এছাড়া, বেশির ভাগ চালক ও হেলপার মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না।
কেন ভাড়া দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে একথা জানতে চাইলে বাস চালক আমিনুল বলেন, দ্বিগুণ ভাড়া না নিলে আমাদের পোষাবে না।
শুধু টেম্পু নয় বাস চালকরাও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন। নগরীর নিউ মার্কেট থেকে সী-বিচ রুটে চলাচলকারী বাসেও দেখা যায় যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। দ্বিগুণ ভাড়া দিলেও বেশিরভাগ যাত্রী এ নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আসিফ জানান, দ্বিগুণ ভাড়া নিলেও কিছু করার নেই । এর আগে যাত্রীরা অনেক টাকা খরচ করে অফিসে আসতে হয়েছে। সেই তুলনায় গণপরিবহনের দ্বিগুণ ভাড়া কিছু না।
১০ নম্বর গাড়িতে চান্দগাঁও থেকে ওয়াসার যাত্রী হৃদয় বলেন, আগে পুরাতন চান্দগাঁও থেকে ওয়াসার ভাড়া ছিল ৮ টাকা। কিন্তু এখন ভাড়া নিচ্ছে ১৫টাকা। কিন্তু প্রতিটি সিটে যাত্রী নেয়ার পরও সিটের বাইরেও যাত্রী নিচ্ছে। এটা একটা বড় হয়রানি।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













