২৪ অক্টোবর ২০২৫

চিত্রনায়িকা পরীমনি: সাদা নয়, লাল লাগবে আমার

ঢাকাই ছবির সুন্দরী নায়িকা পরীমণির সাদা চলবে না, তিনি স্পষ্টই লাল লাগবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন । সাদা কি আর কী লাল লাগবে— চলুন জেনে নেয়া যাক। 

ইদানিং চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ঘিরে কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বেশি। শোনা যাচ্ছে, পরীমনি প্রেম করছেন তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে। তাঁদের একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা গেছে। ইদানীং এমনও দেখা যাচ্ছে, পরীমনি তাঁর ফেসবুক পেজে শেখ সাদীর গাওয়া গান শেয়ার করছেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শেখ সাদীর নতুন গান ‘মনে নাই দয়া’ প্রকাশের পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন পরীমনি। ক্যাপশনে একটি ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে তিনি লিখেছেন মাত্র একটি শব্দ—‘দারুণ’।

এই পোস্টের মন্তব্যে একজন মজার ছলে লিখেছিলেন, ‘এভাবে সাদী ভাইকে ‘ছ্যাঁকা’টা না দিলেও হতো, পরী।’ উত্তরে পরীমনি বলেন, “কেবল তো শুরু। সারাজীবনই দেব।”

পরীমনির এমন রসিকতায় মন্তব্যের ঘরে আরও অনেক রিঅ্যাকশন জমা হয়।

এদিকে পরীমনির পোস্টে সাদা রঙের ভালোবাসার ইমোজি দিয়েছেন শেখ সাদী। তবে এমন ইমোজিতে সন্তুষ্ট হননি পরীমনি, তা মন্তব্য দেখেই বোঝা গেছে। পাল্টা মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, ‘লাল লাগবে আমার।’

ছয় বছর আগে ‘ললনা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করে নিজের কথা জানান দিয়েছিলেন তরুণ গায়ক শেখ সাদী। এরপর যথা বিরতিতে নিজের ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ করতে থাকেন। এ মাসের শুরুতে সাদী প্রকাশ করেন ‘কুফা’ গানটি। সেই গানের জন্যও শুভকামনা জানিয়েছিলেন পরীমনি। লিখেছিলেন, সাদীর গাওয়া ‘কুফা’ গান বিস্ফোরণ হবে।

তবে সম্প্রতি পরীমনির মামলায় জামিনদার হয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন শেখ সাদী। পরীমনির জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ সাদী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘পরীমনি আমার সহকর্মী। যখন গণমাধ্যমে পরীমনির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর শুনলাম, তখন বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। এরপর পরীমনির সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এ জন্য আমিও আদালতে যাই। জামিন হওয়ার পর তাঁর আইনজীবী একজন জামিনদার হন। আমিও আরেকজন জামিনদার হলাম।’

অন্যদিকে শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে পরীমনি দেশের এক শীর্ষস্থানীয় দৈনিককে বলেন, ‘হঠাৎ আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম বলে আদালতে যেতে পারিনি। যখন শুনলাম আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, খবরটি যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এমন পরিস্থিতিতে আমার বন্ধুবান্ধবেরা আমাকে সাহস জুগিয়েছে। শেখ সাদীও আমার সহকর্মী। তার সঙ্গেও গতকাল কথা হয়। আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করে।’

আরও পড়ুন