চট্টগ্রামের এস আলম সুগার রিফাইন্ড চিনি কলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কারখানার দূষিত বর্জ্য সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে ফেলায় ৬টি পরিবেশ সংগঠন নদী পাড়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার বাংলাবাজার ঘাটে এই সংগঠনগুলো অবস্থান করেন।

এতে অংশ নেন বাংলাদেশ পরিবেদ আইনবিদ সমিতি বেলা,বাংলাদেশ নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, আর কে এস ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি পরিবেশ কেন্দ্র।
এই সংগঠন ও সংস্থাগুলোর দাবি, বর্জ্যের বিষক্রিয়ায় কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী ও মাছ মারা যাচ্ছে। ভেসে ওঠা মাছ গুলো জাল দিয়ে ধরে ধরছেন জেলেরা। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে কারখানার রাসায়নিক পদার্থ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে পানি দূষণ ও জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন সংগঠন ও সংস্থাগুলো।

ধর্মঘট থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা আরও জানিয়েছেন, জাতীয় সম্পদ কর্ণফুলীকে আমরা গলা টিপে হত্যা করতেছি। এস আলম গ্রুপ প্রভাবশালী বলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
আগামী তিনদিনের মধ্যে বর্জ্যের কারণে কর্ণফুলী নদীর কি কি ক্ষতি হয়েছে সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ না করলে রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় ঘেরাও করা হলে বলে জানিয়েছেন ধর্মঘট পালনকারীরা।
ওদিকে, ৭ মার্চ দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, পরিবেশকে অক্ষুন্ন রেখে কারখানার পোড়া বর্জ্য কারখানার ভেতরেই গভীর গর্ত করে সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলছি। নদীতে যেন কারখানার তরল বর্জ্য না পড়ে।’
উল্লেখ, গত ৪ মার্চ বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। এতে ১ লাখ মেট্টিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।













