চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর সায়েদ আলম (৩৫) হত্যা মামলার রহস্য ঘটনার এক বছর পর উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মামলার দুই আসামি মো. ইমাম হোসেন ও মো. শাকিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শাকিব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত সায়েদ আলমের সঙ্গে শাকিব ও ইমামের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা একসঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। কিন্তু একসময় শাকিবকে চুরির অভিযোগে মারধর করে সায়েদ আলম।
এমনকি শাকিবের শিশুকে আটকে রেখে শাশুড়ির কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করেছিলেন সায়েদ। এসব ঘটনার জের ধরে শাকিবের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ জমে ওঠে। সেই ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পিতভাবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাত ১১টার দিকে শাকিবের ভগ্নিপতি ইমামের মাধ্যমে সায়েদ আলমকে ইমামের খামারে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদক সেবন করানো হয়।
একপর্যায়ে সায়েদ আলম মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে আসামি শাকিব পিছন দিক থেকে ধারালো রামদা দিয়ে সায়েদের মাথায় কোপ মারে। সায়েদ মাথায় হাত দিলে শাকিব আবারও কোপ মারে। ঐ কোপে সায়েদের বাম হাতটি কেটে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর শাকিব আরেকটি কোপ মারলে সায়েদ আলম মাটিতে পড়ে যায়। তখন ইমাম হোসেন সায়েদ আলমের গলা কেটে জবাই করে।
পরবর্তীতে শাকিব ও ইমাম হোসেন সায়েদ আলমের মৃতদেহ বস্তায় ভরে কচ্ছইব্যা ঘোনা সোনা পাহাড়ের পাদদেশে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে আসামি মো. শাকিব আদালতে ১৬৪ ধারামতে জবানবন্দি প্রদান করে।
জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম বলেন, মামলার প্রধান আসামি ইমাম হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করলে তিনি হত্যার দায় অস্বীকার করেন।
এরপর ইমামের শ্বশুর ও শাকিবের পিতা মো. জসিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাতে মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হয়। অপর পলাতক আসামি শাকিবকে র্যাব-১১ এর সহায়তায় শুক্রবার ১৫ আগস্ট নোয়াখালীর চাটখিল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয় সে।













