বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন তিন পুলের মাথায় গুলশান প্লাজার নিউ বেঙ্গলের গোডাউন থেকে ইলেকট্রিক সামগ্রী চুরি করে ক্রয় বিক্রয়ের অপরাধে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.নেজাম উদ্দিন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মাসুম (২৭), মো. নেজাম উদ্দিন (৩১), মো. ফয়সাল (২৬) ও মো. শাহাদাত হোসেন (৩৮)।
জানা যায়, গুলশান প্লাজার ৩য় তলায় নিউ বেঙ্গল ইলেকট্রিক নামক দোকান থেকে গত ৩ মে রাতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রিক সামগ্রী চুরি যাওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করেন দোকান মালিক মো. সাইফুল ইসলাম। মামলার সূত্র ধরে দন্তকারী অফিসার এসআই মৃণাল কান্তি মজুমদারের নেতৃৃত্বে গতকাল রাতভর অভিযান চালিয়ে নগরীর নন্দনকানন গোলাপ সিংহ লেইন হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দোকান মালিক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তার নিউ বেঙ্গল ইলেকট্রিক দোকানের গোডাউনে প্রায় সময় ১০/১২ লক্ষ টাকা মূল্যের লাইট, ফ্যান, তার সুইস, হোল্ডার, মাল্টি প্লাক, চকেট সহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক সামগ্রী রক্ষিত থাকে। গত ০৩ মে বিকাল ৪টার সময় তিনি ও তার দোকানের ষ্টাফরা গোডাউন তালাবদ্ধ করে দোকানে যান এবং সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। পরবর্তীতে গত ০৫ মে সকাল বেলা দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করাকালে গোডাউন হতে ইলেকট্রিক মালামাল আনতে গেলে দেখতে পান যে, গোডাউনের সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন, গোডাউনের দরজার হুকের অংশ বাকা এবং গোডাউনের ভিতর রক্ষিত সিসি ক্যামেরার তার কাটা। তিনি গোডাউনের রক্ষিত মালামাল তল্লাশী করে দেখতে পান যে, অনুমান ১,৩৫,০০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন কোম্পানীরর লাইট, ফ্যান, তার, সুইস, হোল্ডার, মাল্টি প্লাক, চকেট সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নাই।
পরে তিনি তার দোকানের গোডাউনে সংগঠিত চুরির বিষয়ে এজাহার দায়ের করলে পেনাল কোডের ৪৬১/৩৮০ ধারায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মৃণাল কান্তি মজুমদার ২০ মে রাতে নন্দনকানন গোলাপ সিংহ লেইন হতে মো. মাসুম (২৭) ও মো. নেজাম উদ্দিন (৩১)-কে আটক করেন।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা উক্ত চুরির ঘটনাটি সংগঠন করেছে এবং তারা অভ্যাসগত ভাবে চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় করে। পরে সেই মালামাল তাদের সহযোগী মো. ফয়সাল(২৬) এর কাছে বিক্রয় করার জন্য দেয়।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে কোতোয়ালী থানাধীন জুবলী রোড শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন ইলেকট্রিক মার্কেট দোকান নং-২ এরশাদ ইলেকট্রিক নামক দোকান হতে মো. ফয়সালকে আটক করা হয়। এসময় সে চোরাইকৃত মালামালগুলো নিজ হাতে বাহির করে দেয়।
উক্ত মালামালের মধ্যে ছিলো- স্যামফনি সিলিং ফ্যান ০৪ টি, নোভানা সিলিং ফ্যান ০১টি, আল হাবিব সিলিং ফ্যান ০১ টি, সুপার স্টার ১০ ইঞ্চি এক্সস্ট ফ্যান ০২ টি, সুপার স্টার ৩০ ওয়াড LAD বাল্ব ০৬ টি, GPC ১৮ ওয়াড IPS বাল্ব ৪৭ টি, পারটেক্স 2×0.65 RM তার/ক্যাবল ৩.৫ কয়েল, পারটেক্স 2 RM তার/ক্যাবল ০.৫ কয়েল, ১২ ইঞ্চি ওয়ালটন রিচার্জেবল ফ্যান ০৩ টি, ১৪ ইঞ্চি ওয়ালটন রিচার্জেবল ফ্যান ০৩ টি, এশিয়া ফ্যানের পাখা ০৩ প্যাকেট। এসময় উদ্ধারকৃত মালামালগুলো জব্দ করা হয়।
ঘটনা এখানে শেষ নয়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা চোরাইমালগুলো তাদের সহযোগী মো. শাহাদাত হোসেন (৩৮) এর কাছে বিক্রয় করে। শাহাদাত হোসেন চোরাই মালামাল অভ্যাসগতভাবে ক্রয়-বিক্রয় করেন।
পরবর্তীতে কোতোয়ালী থানাধীন নন্দনকানন রাইফেল ক্লাব ইলেকট্রিক মার্কেটের মাসুম ইলেকট্রিক নামক দোকান হতে মো. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১০টি সনি ৯ ইঞ্চি হাইস্পিড ফ্যান উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে পূর্বেও কোতোয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে ১টি মামলা আছে বলে জানান এসআই নেজাম উদ্দিন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













