৬ নভেম্বর ২০২৫

চোখে কালো কাপড় বেঁধে আন্দোলনে চবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি »

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে আন্দোলন করেছেন।এসময় তারা জানান, তাদের দাবিকে সবাই যৌক্তিক বললেও কেন এই দাবির প্রেক্ষিতে ১০৭ দিন আন্দোলন করার পরও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় চোখে কালো কাপড় বেঁধে আন্দোলন করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের মূল ফটকের সামনে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আন্দোলন করেন চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। চবির মূল ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত চারুকলা ইন্সটিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে ১০৭ তম দিনের মতো আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনরত চবির চারুকলা ইন্সটিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. শহীদ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আমাদের ইন্সটিটিউটের প্রশাসন সবাই বলছেন- আমাদের দাবি যৌক্তিক। অথচ এই দাবির প্রেক্ষিতে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা এখনো কোনো আশার আলো দেখতে পাইনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সবাই বলছে দেশে অর্থনৈতিক মন্দার কারণ এখন চারুকলা ইন্সটিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। বিশাল অবকাঠামোর প্রয়োজন কিন্তু বাজেট সল্পতা। কিন্তু আমরা তো এখনই বিশাল অবকাঠামো চাচ্ছি না। আমরা চাই আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক, চারুকলা ইন্সটিটিউট মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। ধীরে ধীরে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হোক। নতুন পুরাতন কোনো এক কলাভবনে আপাতত আমাদের ক্লাস করার ব্যবস্থা করা হোক।’

তবে শিক্ষার্থীদের এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বা প্রশাসন দাবির প্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবেন বলে জানান আন্দোলনরত এই শিক্ষার্থী।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন তাদেরকে ধৈর্য ধরে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে বলেছে। চারুকলা ইন্সটিটিউটে কাজ চলছে, সব সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন তাদের দাবি নাকচ করেনি, বিবেচনায় রেখেছে। সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখানে শুধু অবকাঠামোর বিষয় না, অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে। সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হল চারুকলা ইন্সটিটিউটের একাডেমিক বোর্ডের সবার সম্মতি পত্র। কিন্তু ইন্সটিটিউটের সব শিক্ষকই শহরে থাকতে চান।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন দাবি মানতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে ২২ দফা দাবি হঠাৎ মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। সেই থেকে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ