২৪ অক্টোবর ২০২৫

ছদ্মবেশি র‌্যাবের ফাঁদে ৯ কারবারি, এক লাখ ইয়াবা জব্দ

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারের গভীর সমুদ্র দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে— এমন খবরে বুধবার মধ্যরাতে জেলের বেশে একটি ট্রলারে অবস্থান নেয় র‌্যাবের একটি দল। অন্ধকারে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনাকালে সাগর পথে ইয়াবা পাচারকারী দলের ট্রলারের দেখা যায় তারা। ট্রলার ধাওয়া করে ধরে র‌্যাব তল্লাশি শুরু করে মাছ ধরার ট্রলারে। অবশেষে কাঙ্খিত মুহুর্ত এলো র‌্যাবের। ট্রলারে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা এক লাখ ইয়াবা মিললো। র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লো রোহিঙ্গা নয় কারবারি।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ধৃতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউপির নয়াপড়া নিবন্ধিত শরনার্থী ক্যাম্পে মৃত জাফর আমানের ছেলে আলী উল্লা (৫০), টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার ওসমান গণির ছেলে জিয়াবুল হোসেন (২১), হ্নীলার জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত ফজল আহমদের ছেলে আবু তাহের (৪০)।

তাদের মাঝে মিয়ানমারের ৪ জন নাগরিকও আটক হয়। তারা হলেন, মো. শফিক ছেলে মোঃ ইউনুস (৩৫), নূরে আলমের ছেলে বদি আলম (২৩), আমিন হোসেনের ছেলে এনামুল হাছান (২০), হাফেজ আহমদের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২), মাহমুদ হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক (২১),এবং সৈয়দ আহমদের ছেলে সাদেক (২২)। তারা সকলেই মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার প্রত্তুমনির মেহেরকুল গ্রামের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোয়েন্দা সূত্রে র‌্যাব-১৫ নিশ্চিত হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ পন্থায় ডাঙ্গায় মোটা অংকের টাকা লেনদেন করবে এবং গভীর বঙ্গোপসাগরে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করবে। এমন তথ্যে র‌্যাব সাগরে ছদ্মবেশ ধরে । পরে পুরো চক্রকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।

ধৃতদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, আটক সকলেই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের সাথে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা গভীর সমুদ্র পথকেই মাদক কেনা-বেচায় নিরাপদ পন্থা বলে মনে করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে গভীর সমুদ্রে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।

এবিষয়ে র‌্যাব এর উপ-অধিনায়ক মেজর আরেফিন ছিদ্দিকী বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ আইনে মামলা দায়ের করে কক্সবাজার সদর থানায় সোপার্দের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন