বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন লাভলেইন মোড়ে গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনটি মোবাইল ফোনসহ মোঃ নজরুল ইসলাম (৫০) নামক এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে মোবাইল ছিনতাই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ১৬০টি মোবাইল সেট। আটক করা হয়েছে মোবাইল ছিনতাই সিন্ডিকেটের চার সদস্যকে। এ ঘটনায় জড়িত একজন পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- মোহাম্মদ মানিক(৫৪) রাউজানের আবু তালেবের বাড়ীর মৃত দেলা মিয়ার ছেলে, মোঃ খলিলুর রহমান (৩১) সাতকানিয়ার কবির আহাম্মদের বাড়ীর কবির আহম্মদের ছেলে, সাহেদুল ইসলাম (২৪) লোহাগাড়ার আমিরাবাদ বলির বাড়ীর হারুনুর রশিদের ছেলে এবং মোঃ সোহেল রানা (৩০) কুমিল্লা জেলার হামি আলী প্রধানের বাড়গীর মোঃ জামাল উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে, পলাতক আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৩৫) রাঙ্গুনিয়ার সড়ক ভাটা রুহুল আমিন সওদাগরের বাড়ির হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন চোর ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করে অধিক মুনাফায় সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করতেন রিয়াজউদ্দিন বাজারে অবস্থিত আলিফ ইলেকট্রনিক্সের মালিক মোহাম্মদ মানিক, এন কে মোবাইলের মালিক খলিলুর রহমান, মাদার টাচ নামক মোবাইল দোকানের মালিক মোঃ খোরশেদ আলম। মোবাইল চুরি বা ছিনতাই করার পর চোর ও ছিনতাইকারীরা এসব দোকান ছাড়া অন্য কোথাও মোবাইল বিক্রয় করতে পারতো না।
এদিকে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াই টায় ছিনতাইকারী নজরুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রিয়াজউদ্দিন বাজারে অবস্থিত আলিফ ইলেকট্রনিক্সের মালিক মোহাম্মদ মানিকের (৫৪) দোকান থেকে ৭৩টি, খলিলুর রহমান (৩১) এর মালিকানাধীন এন কে মোবাইল নামক দোকান থেকে ৬৫টি এবং পলাতক আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৩৫) এর মাদার টাচ নামক মোবাইল দোকান হইতে ২২টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। এ সময় পলাতক আসামী খোরশেদ আলম (৩৫) এর দোকানের কর্মচারী সাহেদুল ইসলাম (২৪) কে আটক করা হয়।
গ্রেফতার ছিনতাইকারী নজরুল ইসলাম সহ উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উল্লেখিত দোকানে আসামীদের নিকট ছিনতাইকৃত মোবাইল সমূহ একেক সময় একেক দোকানে বিক্রয় করত বলে স্বীকার করে। এ সময় আসামীদেরকে বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে বললেও তারা বৈধ কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারে নি।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ মানিক (৫৪) ও পলাতক আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৩৫) আপন মামা-ভাগিনা। তারা উভয়ে আলোচিত রিয়াজউদ্দিন বাজারের চোরাই মোবাইল ক্রয়কারী র্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত জাহিদুল ইসলাম আলো’র অন্যতম সহযোগী। আলোর মৃত্যুর পর এই চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেট তারা আপন মামা-ভাগিনা নিয়ন্ত্রন করে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম













