কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের পেকুয়ায় লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। এসময় আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মালেক (৫৫) মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার রাত ৯টার দিকে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে আব্দুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ হোছাইনের সঙ্গে স্থানীয় বাজার পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে উজ্জলুর রহমান নাইবুর কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দু’জনের বাবা আবদুল মালেক ও নুরুল আমিন। দুজনের বাবা উপস্থিত হলে তাদের মধ্যেও বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে হঠাৎ নুরুল আমিন ছুরিকাঘাত করেন আব্দুল মালেককে। এতে তিনি লুঠিয়ে পড়েন। ওই সময় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আব্দুল মালেকের ছেলে মো. পারভেজ (২৫) ও স্থানীয় বুলু আকতার (৪০) আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল মালেককে মৃত ঘোষণা করেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শোয়াইব বলেন, নিহতের ফুসফুসে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুকেও কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আব্দুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, নুরুল আমিন আমার বাবাকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।
হাসপাতালের বারান্দায় বিলাপরত অবস্থায় মালেকের স্ত্রী ফাতেমা আকতার (৪৫) বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে আমার স্বামীকে মেরে ফেললো পাষণ্ডরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, আবদুল মাবুদের দোকানটি মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত। সেখানে দিবারাত্রি জুয়ার আসর বসায় দোকানির দুই ছেলে বারেক ও ইমাম হোছাইন। লুডুর জুয়া খেলা নিয়ে এখানে প্রতিদিন কোন না কোন ঘটনা লেগেই আছে। সর্বশেষে রোববার রাতে খুনের ঘটনা ঘটলো।
এ বিষয়ে জানতে দোকানি আবদুল মাবুদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। রাতে হত্যার ঘটনার পর দোকান ও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ আলী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে।













