২৩ অক্টোবর ২০২৫

ছোঁয়া’র ‘আক্ষেপ’

আক্ষেপ

হটাৎ একদিন নীলারঙ্গা শাড়ি এনে দিল
পাখি দেখাতে নিয়ে যাবে-
কিভাবে শতশত পাখির মেলা বসে, পাখি ডাকে, গান গায়।
গেলাম বিধু নদীর তীরে, অতিথি পাখি দেখতে
পাখি দেখার ছলে শাড়ি এই পরিহিতার সম্মুখে
নতজানু হয়ে বলেছিলো—
‘আমি তোমার শাড়ির জমিন হতে চাই
প্রতিটি কুচির ভাজ হতে চাই’

তাকে ফেরাবার সামর্থ নেই-
শুধু অবাক হয়েছিলাম,
শুভ্র চামড়ার সুদর্শন যুবক
কিভাবে পারে মেঘরঙ্গা মেয়েকে ভালোবাসতে?
এর জবাব ছিল না আমার কাছে-
নিশ্চুপ নিশুতি রাতের মতন
মৌনতা ছিল সম্মতির লক্ষণ
ভালোবেসায় সিক্ত ছিলাম দু’জন।

তারপর কেটে গেল কত যে বর্ষ
শুধু দেখি, ভাবি আর অবাক হই
কালো মেঘও কি এতো ভালোবাসে মানুষ!

প্রিয় বন্ধু ইলা মিত্র, শেতাঙ্গ দেহের মানবী;
যেন ভারতীয় নায়িকা সোনালি বেন্দ্র
যেদিন সে ইলাকে একশো গোলাপ দিল
ভেবেছি তা নিতান্তই মজা,
কিন্তু ইলার শরীরের জমিন ও দেহের ভাজ যে
এই শাড়ির জমিন ও কুচির ভাজের চেয়ে মোহনীয়-
তা বুঝিনি।

এরপর সে এড়িয়ে চলতো আমাকে
যেভাবে ঢেউ এড়িয়ে যায় বালুচর
ছুঁয়ে দিয়ে হারিয়ে যায় বারবার,
ততদিনে নিশ্বাসে তার অভ্যস্ত হয়ে গেছি
সব বুঝেও বুঝতে চাইনি!

সেই বোজম বন্ধু ইলার শেতাঙ্গ শরীর
কতটা কামাতুর কখনো বুঝতে চাইনি,
জানতাম, সে ঠেকাতে পারেনা আমাকে
ওরা যেদিন আমাকে বিধু নদীর গর্ভে স্থান দিল
সেদিন সবই বুঝেছি; বিশ্বাস করেছি
কিন্তু কি করার ছিল!

আমিও এখন এই মেঘরঙ্গা শরীর ঘৃণা করি
ছি, কি বিচ্ছিরি গন্ধ আসে
কি বিচ্ছিরি এই শরীরটা!

আরও পড়ুন