২৪ অক্টোবর ২০২৫

জঙ্গল সলিমপুরে শতাধিক একর জায়গা উদ্ধার

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে টানা অষ্টম দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে শতাধিক একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর এলাকা নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্টের স্থান নির্ধারণ, সিসিটিভি স্থাপনের লোকেশন চিহ্নিতকরণ সহ নাইট সাফারি পার্কের সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৩টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে জঙ্গল সলিমপুর মৌজার প্রায় ১০০ একর খাস জায়গা করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত খাস জায়গায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার এক্সটেনশন হিসেবে সিঙ্গাপুরের জুরং ন্যাশনাল পার্ক এর আদলে নাইট সাফারি পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৫৭ একর সরকারি খাস জায়গা ঘিরে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। জঙ্গল সলিমপুর ছিন্নমূল এলাকা ও আলিনগর এলাকায় প্রশাসনের নিশ্ছিদ্র নজরদারি স্থাপনের জন্য প্রায় তিন শতাধিক সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। এর জন্য সিসিটিভি স্থাপনের লোকেশন সমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকা, আলিনগর এলাকায় প্রশাসনের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করতে পুলিশ র‍্যাব, আনসার কাজ করবে। এই লক্ষ্যে আজকে এই বাহিনীগুলোর সিকিউরিটি চেকপোস্ট স্থাপনের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট দূরত্বে নিরাপত্তা চৌকির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল ও আলিনগর এলাকায় খাস জায়গায় যারা অবৈধভাবে দখল করেছে এবং অবৈধভাবে জায়গা বিভিন্ন কথিত সমিতির থেকে কেনাবেচা করছে তাদেরকে সতর্ক করে গণবিজ্ঞপ্তি সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল ও আলি নগর এলাকার অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এই জঙ্গল সলিমপুর এলাকার ১৫ টি সমবায় সমিতি এর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আলিনগর এলাকায় ইয়াসিন বাহিনীর কাছ থেকে যারা প্রতারিত হয়েছে তাদের অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে চলে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে আলিনগর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ টি পরিবার তাদের নির্মিত ঘরবাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি যে সকল জিনিসপত্র দিয়ে ঘরবাড়ি বানিয়েছিল সেগুলো খুলে ট্রাকে ভরে নিয়ে যাচ্ছে। আনুমানিক আজকে পর্যন্ত প্রায় ৫০টি পরিবার আলিনগর ছেড়ে গেছে।

অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সীতাকু-সহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ। অভিযানে ৬০ জন পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের স্টাফ ও ভলান্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের উদ্যোগে সরকারি খাস জমি উদ্ধার এবং পাহাড় রক্ষায় প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রিট পিটিশনের আদেশ প্রতিপালনে সীতাকু- উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরসহ সকল পাহাড়ি এলাকা রক্ষায় এবং পাহাড় কাটা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম এর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট উপায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ একটানা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে।

আরও পড়ুন