কক্সবাজার প্রতিনিধি »
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন বাঙালি জাতির জন্য বড় বিপর্যয় আসবে। এজন্যই পাকিস্তানিদের শোষণের নাগপাশ থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পৃথিবীর বুকে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির অস্তিত্ব সূচিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় রামুর বঙ্গবন্ধু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
রামু হাইস্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধু উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মার সভাপতিত্বে উৎসবের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা সভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন- ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। এমন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনিই কিছু বিপদগামী, ক্ষমতালোভী ও চক্রান্তকারীদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন পুরো পরিবার। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক দেশটি হয়তো আলাদাভাবে পরিচিত হত।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন সন্নিকটে। বিএনপির নেতারা সরকারের তৈরি সেতুর উপর উঠেও সরকারের উন্নয়ন হয়নি বলে সমালোচনা করেন। তারা করোনার টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অথচ পরবর্তীতে মীর্জা ফখরুলসহ বিএনপির সকল নেতারা টিকা নিয়েছেন।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার এখন আগের মতো নেই। স্বপ্নের রেল, এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বপ্ন পূরণে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। দেশের লাখো মানুষকে মুজিব বর্ষের ঘর উপহার দিয়েছেন। শেখ হাসিনার মেধাবী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। এখন খালি পা আর ছেঁড়া জামা পড়ার দৃশ্য দেখা যায় না, কুড়ে ঘরেও মানুষ থাকে না। জনতার স্বপ্ন আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে সবাইকে রায় দিতে হবে।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু উৎসবের সমন্বয়ক কক্সবাজার ৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল।
উৎসবের মহাসচিব উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ নীতিশ বড়ুয়া সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামশুল আলম, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ফরিদুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ তারিখ রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসবের সূচনা হয়। সপ্তাহব্যাপী উৎসবের সমাপন হবে শনিবার রাতে। এমনটি জানিয়েছেন উৎসব কমিটির সদস্য নীতিশ বড়ুয়া।
