বাংলাধারা ডেস্ক »
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে ব্যাপক প্রচারে নামছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সব প্রচার মাধ্যম ছাড়াও হাট-বাজারেও চালানো হবে প্রচারযজ্ঞ।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা দিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প হাতে দুই লাখ নতুন মেশিন কেনার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। এর পাশপাশি ইভিএম সম্পর্কে জনমানুষকে অবহিত করতে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, টিভি-পত্রিকা, ইউটিউবে এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা প্রচারে যাবো। এছাড়া স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় এমনকি হাট-বাজারেও প্রচার করবো। গতানুগতিক কোনো প্রচার নয়, ম্যাস আকারে প্রচারে যাবো। ব্যাপক প্রচার হবে যাতে কেউ না বলতে পারে যে ইভিএম সম্পর্কে জানি না।
তিনি আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহার হবে। তবে এই মুহূর্তে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ভোট করার সক্ষমতা আছে। আমরা কতগুলোতে পারবো সেই সক্ষমতা অর্জনের ওপর নির্ভর করবে কত আসনে এই মেশিন ব্যবহার করা হবে। তবে আমাদের ইচ্ছা সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার। এজন্য নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। যদি নতুন প্রকল্প পাওয়া যায় এবং অন্যান্য সক্ষমতাও অর্জন হয়, তবে কেবল ১৫০ আসনে ব্যবহার সম্ভব।
২০১০ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন দেশে ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ইভিএমের সূচনা করে। সে সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে এই ভোটযন্ত্র তৈরি করে নেওয়া হয়েছিল।
নেও ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।













