মো. সৈকত »
শপিংমলের ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে লকডাউনের মাঝে মার্কেট খুলে দিলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি নেই। আর এতেই অনেকটা হতাশ হয়ে আবারও বড় ধরণের লোকসানের আশংকা করছেন তারা।
নগরীর বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে দেখা যায় প্রায় অভিন্ন চিত্র। দিনে কিছুটা বেচাকেনা হলেও সন্ধ্যার পরে অনেকটা ক্রেতাশূন্য দোকানপাট।
নগরীর বিপণি বিতান (নিউ মার্কেট) এ স্মার্ট শপের বিক্রয়কর্মী রাসেল জানান, তাদের পোশাক এবার তেমন বিক্রি হচ্ছে না। ঈদ ছাড়াও নরমালি ১০-১৫ পিস শার্ট বিক্রয় হতো অথচ এবার দিনে ৮ টার বেশি শার্ট বিক্রি করতে পারছেন না।
নগরীর পাইকারি মার্কেটখ্যাত টেরিবাজারের অবস্থাও খুব একটা ভালো না। টেরিবাজারে বিভিন্ন মার্কেটে প্রায় ২৫০০ ছোট-বড় দোকান রয়েছে। শবে বরাতের পর থেকে এসব দোকানগুলোতে বিক্রয় জমে উঠে। কিন্তু এবার লকডাউনসহ সার্বিক পরিস্থিতির কারণে বেচা-কেনা নেই বললেই চলে।
অভিজাত শপিংমল সানমার ওশান সিটির ব্যবসায়ী আলম জানান, এই শপিংমলে সাধারণত উচ্চ-মধ্যবিত্ত কেনাকাটা করতে আসেন। লকডাউনের আগে কিছুটা বিকিকিনি হলেও এখন বিক্রি একদমই নেই। করোনা মহামারির কারণে হয়তো জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় ক্রেতারা আসছেন না। এভাবে চলতে থাকলে শুধু লোকসানই বাড়তে থাকবে।

নগরীর মধ্যবিত্তের মার্কেটখ্যাত লাকি প্লাজা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকানেই ক্রেতার সংখ্যা কম। এই মার্কেটের ওম্যান্স ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী জাহেদ জানান, অন্যান্য বছরে রোজার এই সময় ক্রেতাদের ভিড়ে মার্কেট সরগরম থাকে। গত বছর করোনার কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল। এবার তো করোনা বেড়ে যাওয়ায় সরকারের লকডাউন চলছে। আমাদের দাবির মুখে সরকার লকডাউনের মাঝেও মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু গণপরিবহনসহ সিএনজি বন্ধ থাকায় ক্রেতারা মার্কেটে আসতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন চলছে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ২৫ এপ্রিল থেকে সরকার মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দেয়।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













