৪ নভেম্বর ২০২৫

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধায় স্মরণ, সারাদেশে পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস

বাংলাধারা ডেস্ক »  

বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে জাতি। যুদ্ধাপরাধীদের বর্জনের দাবীর মধ্যদিয়ে সারাদেশে ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশন সমূহে পালিত হচ্ছে বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। ৪৮ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর নি:শর্ত আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে এ বিজয় অর্জিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহীদের আত্মাহুতি ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালির এ বিজয় আসে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে লাখো জনতা। সূর্যোদয়ের পর থেকেই মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে।সমাজের সর্বক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধীদের বর্জনের দাবী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সবাই। সেই সাথে বিন¤্র শ্রদ্ধাবনত চিত্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করলো পুরো জাতি। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে।

আজ ১৬ ডিসেম্বর দিবসের প্রথম প্রহর থেকেই বাঙালি জাতির অহংকার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বিদেশী অতিথি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানকিতায় ভোর সাড়ে ৬টা ৩৪ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পনের পর কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুন সুর।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব আনার প্রদান করেন সেনবাহিনীর একটি চৌকস দল। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর পরপরই খুলে দেয়া হয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক।

এ সময় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। ফুলেল শ্রদ্ধায় বিজয়ের উচ্ছাসে উচ্ছসিত সূর্যের মতোই আলোকিত করে জাতির সূর্য সন্তানদের।

একে একে শ্রদ্ধা জানান কূটনৈতিকবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, জাকের পার্টি, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন দুগ্ধ খামার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিভিন্ন হল সমূহ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলসমূহ, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়, সিআরপি, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক ফোরাম, ন্যাপ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সাম্যবাদী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসময় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ