২৩ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন হতে পারে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে উৎসুক অপেক্ষা। সব জল্পনা-কল্পনার কেন্দ্রে এখন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬। ধারণা করা হচ্ছে, এ দিনেই অনুষ্ঠিত হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ ৫ আগস্ট বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। পরে রাতেই তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন, যেখানে ভোটের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের কথা জানানো হতে পারে।

কেন ১২ ফেব্রুয়ারি?

নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, ১২ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে উপযুক্ত তারিখ। কারণ:

রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই ভোট সম্পন্ন করা হলে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি হবে।

১৪ ফেব্রুয়ারি পড়ছে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস, যা নানা আয়োজন ও জনসমাগমের কারণে ভোটগ্রহণের জন্য অনুপযুক্ত।

১৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হওয়ায় ধর্মীয় কারণে সেদিনও নির্বাচন আয়োজন জটিল।

ফলে ১২ ফেব্রুয়ারি, একটি বৃহস্পতিবার, সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সবচেয়ে সম্ভাব্য দিন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তফসিলের সময় হিসাব

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি।

৯০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা হলে: ১৪ নভেম্বর
৬০ দিন আগে: ১৪ ডিসেম্বর
৪৫ দিন আগে: ২৯ ডিসেম্বর

বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিকদের মতামত

বিএনপির সিনিয়র নেতা নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, “রমজানের আগে ভোট হলে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারে স্বস্তি আসবে। জনগণও স্বাচ্ছন্দ্যে অংশ নিতে পারবে।”

নির্বাচন বিশ্লেষক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “তফসিল ডিসেম্বরের মধ্যে ঘোষণা হলে সময় ও আইনি কাঠামোর ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।”

প্রশাসনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, “মনোনয়ন যাচাই, আপিল এবং প্রচারের পর্যাপ্ত সময় বিবেচনায় ন্যূনতম ১৫ থেকে ২১ দিন সময় রাখা বাধ্যতামূলক।”

চোখ এখন প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের দিকে

সবশেষে, আজ রাতের প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ঘিরে জাতি তাকিয়ে আছে সম্ভাব্য নির্বাচনের ঘোষণা শোনার আশায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আজকের রাতই হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত পথচলার সূচনা।

আরও পড়ুন