জাতীয় পর্যায়ে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১২তম স্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মধ্য জুঁইদন্ডী তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসার ক্ষুদে হিফজ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বিন শাহাদাত। এ সাফল্য উপলক্ষে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে ফেরার পর তাকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বরণ করে নেন এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের দীর্ঘ সড়ক পথে ফুল দিয়ে সাজানো ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়িতে করে বিজয়ী শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আনা হয়। পরে সেখানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহীদের এই অর্জনে পুরো গ্রামজুড়ে আনন্দ ও উৎসবের আবহ বিরাজ করে।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বিজয়ী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বলেন, সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আজ এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। এজন্য আমি আমার শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
জানা যায়, হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত ৩০তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ৫৬০ জন জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন। পাঁচটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার ২০ পারা গ্রুপে ১১২ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সেরা ১২ জনের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ শহীদ।
মোহাম্মদ শহীদ আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহাদাতের পুত্র।
মাদ্রাসার পরিচালক কায়ছার হামিদ বলেন, “জাতীয় পর্যায়ে ১২তম স্থান অর্জনের মাধ্যমে শহীদ শুধু মাদ্রাসার নয়, পুরো আনোয়ারা উপজেলার সুনাম বৃদ্ধি করেছে। তার কঠোর পরিশ্রম ও মেধার ফলেই এই সাফল্য এসেছে। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্য জুঁইদন্ডী তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কায়ছার হামিদ সওদাগর, প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোস্তাক, শিক্ষক মাওলানা আবদুল হাই, মাওলানা খোরশেদ, মাওলানা আবদুল ওয়াহেদ, মাওলানা আবদুল রহমান, হাফেজ আসহাব উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় শিক্ষক ও এলাকাবাসী বিজয়ী শিক্ষার্থীর জন্য দোয়া করেন এবং ভবিষ্যতেও এমন সাফল্য অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।













