৩০ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের সভায় দলীয় কর্মীদের শোডাউন, ক্ষোভ-সমালোচনার ঝড়

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের পরিচিতি সভায় দলের কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে অডিটোরিয়ামে বসার আসন পাননি অনেক আইনজীবী। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের পরিচিতি সভা কার্যত দলীয় সভায় পরিণত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে)  চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্যানেল পরিচিতি সভায় ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার দলীয় কর্মিরা অংশ নেন।

প্যানেল পরিচিতি সভাকে চট্টগ্রামে আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলালের শোডাউন হিসেবে দেখছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। নেতাকর্মী বেষ্টিত মীর হেলাল সভাস্থলে প্রবেশ করেন ৷ এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।

আইনজীবী রাশেদুল আনোয়ার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের অনুষ্ঠানে গিয়ে অধিকাংশ আইনজীবীরাই হতাশ, সংক্ষুব্ধ। নেতাকর্মীদের বিশাল বহর নিয়ে শোডাউন করে তো জিতা যাবে না। আইনজীবীদের নির্বাচন আইনজীবীদের কাছে ভোট চাইতে হবে৷ আজকের সভায় আইনজীবীদের অনেকে বসার আসন পাননি। পুরো হল ছাত্রদল-যুবদলের কর্মী দিয়ে ভর্তি করে আমাদের লিডার কি প্রমাণ করতে চাইলেন? ‘

বিএনপি সমর্থক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আইনজীবীদের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ছাড়া রাজনৈতিক দলের বহিরাগতদের অংশগ্রহণ ও আসন গ্রহণ অপ্রত্যাশিত।’

নিজের ফেসবুক একাউন্টে আরেক আইনজীবী হোসাইন মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন লিখেছেন, ‘আইনজীবীদের অনুষ্ঠানে দলীয় পরিচয়ে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ কাম্য নয়, সেটা যে দলেরই হউক।’

সাধারণত আইনজীবী সমিতি বা কোন দল সমর্থিত আইনজীবী সংগঠনের অনুষ্ঠানে আইনজীবীরাই অংশ নিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে আইনজীবীর চেয়ে দলের নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। মীর হেলালের সাথে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, যুবদলের সব শীর্ষ নেতাদের আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়।

আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের পরিচিতি সভার সাফল্য তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যারিস্টার মীর হেলালের সাথে সেলফি দিয়েছেন ছাত্রদল, যুবদল নেতাদের অনেকেই। সেখানে তাদের আলোচনায় নির্বাচনের প্রচারণার চেয়ে মীর হেলালের স্তুতি বেশি ছিল।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল সাংবাদিকদের জানান, আমি যেহেতু রাজনীতি করি আমার কর্মীরা আমার সাথে থাকতেই পারে। আর গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের প্রোগ্রাম ছিল ওইসব নেতা কর্মীদের মামলার হাজিরা ছিল, তারা মামলার হাজিরা দিতে এসে হটাৎ আমার সাথে দেখা হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ‘আইনজীবীদের প্রোগ্রামে শুধু আইনজীবীরাই ছিল। কোন দলীয় কর্মীরা ছিল না।’
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল বলেন, ‘রীতি অনুযায়ী আইনজীবীদের সভায় আইনজীবীরাই অংশ নেয়। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভায় কিংবা নির্বাচনী প্রচারণায় আমরা সেটাই করি। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন অনুচিত।’

আরও পড়ুন