৩১ অক্টোবর ২০২৫

জাবি উপাচার্যের সাংবাদিক লাঞ্চনায় চবি সাংবাদিক সমিতির নিন্দা

চবি প্রতিনিধি »

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাইদুল ইসলাম এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীফুল ইসলাম সীমান্তকে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম কর্তৃক লাঞ্চনার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে সংগঠনটির প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক নাজমুস সায়াদাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফয়সাল ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী এক যৌথ বিবৃবিতে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃবিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, গত ২২ আগস্ট সংবাদের প্রয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাইদুল ইসলাম এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে উপাচার্য কার্যালয়ে যান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের দুই কোটি টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে বণ্টনের অভিযোগ সম্পর্কে উপাচার্যের বক্তব্য জানতে চাইলে উপাচার্য সাংবাদিকদ্বয়ের উপর প্রচন্ড রেগে যান। এমন প্রশ্ন করার সাহস কোথায় পেল বলে সাংবাদিকদ্বয়কে ধমকাতে থাকেন।

এসময় উপাচার্য প্রক্টরকে সাংবাদিকদ্বয়ের বিরুদ্ধে ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধিতে ব্যবস্থা নিতে বলেন এবং সাংবাদিকদ্বয়ের বিভাগীয় সভাপতিকে ডেকে পাঠান। এক পর্যায়ে উপাচার্য সাংবাদিকদ্বয়ের ছবি তুলে রাখার নির্দেশ দিলে পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম তাদের ছবি তুলে রাখেন। দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবৎ ধমকাধমকি এবং নানা হুমকি প্রদান করেন।

বিবৃবিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এহেন অপেশাদার এবং অশোভনমূলক আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিভাগীয় সভাপতিকে ডেকে আনা এবং সাংবাদিকদ্বয়ের ছবি তুলে রাখা চরম অশোভন ও তাদের শিক্ষাজীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম খুব দ্রুত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে বসে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার যথাযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অচিরেই প্রশাসনকে এ ধরণের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে আহবান জানান।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম

আরও পড়ুন