২৪ অক্টোবর ২০২৫

জাহাজ ভাঙায় শীর্ষে বাংলাদেশ, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শ্রমিকরা

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

জাহাজ ভাঙা (শিপ ব্রেকিং) তালিকায় বরাবরই সবার প্রথমে ছিল বাংলাদেশ। তবে করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে শীর্ষ তালিকায় বাংলাদেশকে পিছনে ফেলে সবার প্রথমে উঠে এসেছিল ভারত। ২০২১ সালে সেই তালিকায় আবারো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাহাজ ভাঙার বিষয়ক আন্তজার্তিক সংগঠন ‘এনজিও শিপ ব্রেকিং প্লাটফরম’ এর প্রকাশিত তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রকাশিত ওই তালিকায় বলা হয়, ২০২১ সালে বিশ্বে মোট ৭৬৩টি জাহাজ ভাঙা হয়েছিল। পুরো বিশ্বে মোট সাতশ’র বেশি জাহাজ ভাঙার মধ্যে বাংলাদেশে ভাঙা হয়েছে ২৫৪টি জাহাজ। যেটি ওই বছর সর্বোচ্চ জাহাজ ভাঙার রেকর্ড।

এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভাঙা হয়েছে ২১০টি জাহাজ। পাকিস্তান জাহাজ ভেঙেছে ১১৯টি এবং তুরস্ক ভেঙেছে ৭৭টি জাহাজ। শতকরা হিসাবে বাংলাদেশ জাহাজ ভেঙেছে মোট শতকরার ৩৩ শতাংশ, ভারত ভেঙেছে ২৭ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তান ভেঙেছে ১৫ শতাংশ এবং তুরস্ক ভেঙেছে ১০ শতাংশ।

২০২০ সালে বিশ্বে ৬৩০টি জাহাজ ভাঙ্গা হয়েছে। ওই বছর শতকরা ৯০ শতাংশ জাহাজ ভাঙা হয়েছিল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানে। বাংলাদেশ ১৪৪টি জাহাজ ভেঙে সাড়ে স্ক্র্যাপ পেয়েছিলো ৬৯ লাখ টন। ভারত ২০৩টি জাহাজ ভেঙে স্ক্র্যাপ পেয়েছিলো ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টন। পাকিস্তান ৯৯টি জাহাজ ভেঙে স্ক্র্যাপ পেয়েছে ২২ লাখ ৫৬ হাজার টন।

চতুর্থস্থানে থাকা তুরস্ক জাহাজ ভেঙেছে ৯৪টি আর পণ্য পেয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টন।
তবে এই জাহাজ ভেঙতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক শ্রমিক। ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪২৬টি প্রাণ গেছে এই জাহাজ ভাঙতে গিয়ে। ২০২১ সালে জাহাজ ভেঙেছে গিয়ে শুধু বাংলাদেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন, ২০২০ সালে ১০ জন এবং ২০১৯ সালে প্রাণ হারান ২৪ জন।

চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় জাহাজ ভেঙার শিপ ইয়ার্ড অবস্থিত সীতাকুণ্ডে। যেটি ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। জাহাজ ভাঙার কারণে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বারবার শিপ ইয়ার্ড মালিকদের তাগাদা দেওয়া হলেও তাদের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

শিপ ইয়ার্ড মালিকদের সাথে যোগযোগ করা হলে এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন তারা।তাছাড়া পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ আদৌ গৃহীত হয়নি সেখানে। এই বিষয়ে শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতারাও কোন কথা বলতে রাজি নন।

বাংলাধারা/এসএএআর

আরও পড়ুন