২৪ অক্টোবর ২০২৫

‘জিয়াউর রহমানই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের মূল প্রতিনায়ক’—নওফেল

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় সমগ্র পৃথিবীর অবাক বিস্ময়ে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর অঙ্গুলি হেলনে ৩০ লাখ বাঙালি আত্মাহুতি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। এটাই ছিল একাত্তরের ঘাতক ও পরাজিত শক্তিদের চোখে বড় অপরাধ। একারণেই দেশি ও আন্তর্জাতিক শক্তির প্রত্যক্ষ যোগসাজশে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমান।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাকলিয়া থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি। কেননা তিনি খুনি চক্রের আরেক শিখণ্ডী মোস্তাককে দিয়ে তড়িঘড়ি করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দায় মুক্তির ঘোষণা দেন। পরে জিয়াউর রহমান সুকৌশলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর এই দায় মুক্তির ঘোষণাকে আইনে পরিণত করেন এবং এই চিহ্নিত খুনিদের বিদেশি দুতাবাসে পুর্নবাসন করে পুরস্কৃত করেছিলেন। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। এতে স্পষ্টই প্রমাণিত সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের মূল প্রতিনায়ক।

আলোচনা সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলন সংগ্রামের নামে যারা সরকারের পতন চায় তাদের নিজেদের পতনই অনিবার্য। কেননা ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগকে কখনো আন্দোলনের নামে ঠেকানো যায়নি। তাই ভয় দেখিয়ে লাভ নাই।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট সামরিক স্বৈরাশাসক জিয়াউর রহমানের কু-সন্তান তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের জন্য যে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল তাতে আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেলেও আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন এবং অসংখ্য নেতাকর্মী আজো গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যন্ত্রণাবিদ্ধ হচ্ছেন। এই তারেক জিয়া শুধু একজন লুটেরা ও সম্পদ পাচারকারী নয়। এই ব্যক্তিটি বিশ্বমানবতার মহাশত্রু।

তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা আন্দোলন-সংগ্রামের নামে যে জ্বালাও পোড়াও ও অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছেন তার জবাব একদিন দিতেই হবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদেরকে জনগণ অতীতের মতো আবারো প্রত্যাখ্যান করবে। আপনারা রাজপথে নেমে যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো করছেন তা কখনো বরদাস্ত করা হবে না। আমরা রাজপথে থেকে এর মোকাবেলা করবো।

বাকলিয়া থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সিদ্দিক আলমের সভাপতিত্বে ও এসএম মোক্তার হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় শোক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন